|
|
|
|
সুবর্ণরেখা কলেজে প্রশাসক নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের, ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গোপীবল্লভপুর সুবর্ণরেখা কলেজে প্রশাসক নিয়োগ করার নির্দেশ দিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। ঝাড়গ্রাম মহকুমার অন্তর্গত কাপগাড়ি কলেজের অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। শনিবারই কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে যারপরনাই ক্ষুব্ধ কলেজের পরিচালন সমিতির সদ্য নির্বাচিত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিচালন সমিতি তৈরির জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। সরকারি প্রতিনিধি রয়েছেন। তা সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে হত্যা করতেই কলেজের অধ্যক্ষ কৌশলে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুল বুঝিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করেছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কলেজে নানা ধরনের সমস্যা চলছিল। কিছু দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রতিনিধিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কলেজে পঠনপাঠনের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তাঁরাও জানিয়েছিলেন তদন্ত-রিপোর্টে। সেই কারণেই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নেই। ফলে ওই কলেজে পরিচালন সমিতির নির্বাচন হলেও প্রতিনিধি পাঠানো যায়নি। তা ছাড়াও ওই কলেজে কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা হচ্ছিল। তাই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।” উপাচার্য আরও বলেন, “মাত্র ৩ মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। তার মধ্যেই পরিচালন সমিতি তৈরি হয়ে যাবে। তখন আর কোনও সমস্যা থাকবে না।”
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সুবর্ণরেখা কলেজের পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়। পরিচালন সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ১২। নতুন পরিচালন সমিতি তৈরির জন্য ১১ জানুয়ারি নির্বাচন হয়। সেখানে ৪ জন শিক্ষক ও ২ জন শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও পরিচালন সমিতিতে রয়েছেন কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কিন্তু এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারেনি। সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে বিধায়ক দুলাল মুর্র্মু ও স্থানীয় খগেন মাণ্ডি থাকলেও নতুন পরিচালন সমিতিতে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কথায়, “গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পাঠানো ওই সরকারি প্রতিনিধি পরবর্তী পরিচালন সমিতিতেও থাকতে পারবেন কি না জানা নেই আমার। এর ব্যাখ্যা চেয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠাব। আপাতত পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানোয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক নিয়োগ করেছে।”
নির্বাচিত সদস্যদের অভিমত, অধ্যক্ষ সত্যিই পরিচালন সমিতি চাইলে আগেই ওই ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠাতেন। নতুবা পুরনো সমিতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতেন। শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত সদস্য ও কলেজের টিচার্স কাউন্সিলের সম্পাদক লখিন্দর পালইয়ের অভিযোগ, “অধ্যক্ষ কলেজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুল বুঝিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করিয়েছেন। যাঁকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে তিনি অধ্যক্ষের বন্ধু।” যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, এলাকাটি জঙ্গলমহল। মহকুমাশাসক প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই চেয়েও মহকুমাশাসককে প্রশাসক হিসেবে পাওয়া যায়নি। |
|
|
|
|
|