কাঁসাইয়ের নতুন সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কাঁসাই নদীর উপর নতুন সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হল রবিবার। প্রথমে চারটি বগি-সহ একটি ইঞ্জিন সেতুর উপর দিয়ে চালিয়ে পরীক্ষা করা হয়। রাতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সিনিয়ার সেফটি অফিসার সতীশ কুমার বলেন, “রবিবার রাত থেকেই নতুন সেতুতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে।” |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-আদ্রা শাখার উপরে মেদিনীপুর শহরের কাছে রয়েছে কাঁসাই নদী। নদীর উপর একটি মাত্র সেতু ছিল। মেদিনীপুর-খড়্গপুর পর্যন্ত রেল লাইনটিও ছিল ‘সিঙ্গল লাইন’। যেটি ‘ডবল লাইন’ করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাধারণ মানুষ। ডবল লাইনের কাজ শীঘ্রই হয়ে যাবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু ডবল লাইন হলেই তো হবে না। তার জন্য প্রয়োজন দ্বিতীয় সেতুরও। খড়্গপুর-আদ্রা শাখাতে প্রতি বছরই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে। নীলাচল, রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও এই শাখায় যাতায়াত করে। একটি লাইনে একটি মাত্র সেতু থাকায় তা খুবই ঝুঁকির হয়ে দাঁড়ায়। কোনও কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে পুরো লাইনটিই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কারণেও দ্বিতীয় সেতুর প্রয়োজন ছিল। দ্বিতীয় সেতুর গুরুত্ব বুঝেই রেল দফতর তার অনুমোদন দেয়। যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। সেতুর দৈর্ঘ্য ৫২৬.৬৯ মিটার। খড়্গপুরের দিকে সেতুর এমব্যাঙ্কমেন্টের দৈর্ঘ্য ১২৯৬.৪০ মিটার ও মেদিনীপুরের দিকে ১২৯৬.৬৮ মিটার। শুধু এটাই নয়, নতুন সেতুর মধ্যে পথচারীদের যাতায়াতের জন্য ফুটপাথও রাখা হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১১ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে। এমনিতেই চার মাস দেরি হয়ে গিয়েছে। তাই দ্রুত গতিতে নতুন সেতু চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেরেল। শনিবারই সেতু পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন রেলের পদস্থ আধিকারিকেরা। রবিবার থেকে ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র দেন তাঁরা। |
|