‘বিতর্ক ভুলে’ রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল এম এ সুলতান এবং পিসিসিএফ (জেনারেল) অতনু রাহাকে ‘মিলেমিশে’ কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। শনিবার কোচবিহারে বনমন্ত্রী বলেন, “হেড অফ দ্য ফরেস্ট সুলতান সমস্ত কাজ তদারকি করবেন। পিসিসিএফ (জেনারেল) অতনুবাবু নির্দেশ জারি, ফাইল দেখার মতো কাজকর্ম করবেন। তাঁদের মিলেমিশে কাজ করতে বলা হয়েছে।”
শনিবার খাগড়াবাড়িতে খুন হন তৃণমূল নেতা শরৎচন্দ্র রায়। তাঁর দেহ রবিবার আনা হয় কোচবিহার শহরের দলীয় কার্যালয়ে। মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা জানান হিতেনবাবু। বন দফতর সূত্রের খবর, বেআইনি করাতকল বন্ধের নির্দেশ জারি নিয়ে বনমন্ত্রী এবং ‘হেড অফ দ্য ফরেস্ট’ তথা প্রধান মুখ্য বনপালের ‘মতবিরোধ’ আলোড়ন হয়। পরিস্থিতি সামলাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধে জড়ানোর জেরে এম এ সুলতানের ‘ক্ষমতা খর্ব’ করে পিসিসিএফ (জেনারেল) পদ তৈরি করে অতনু রাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে আধিকারিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি হবে মন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল। পাশাপাশি পদাধিকার বলে অতনুবাবু তাঁর অধস্তন কি না, জানতে চেয়েও রাজ্য সরকারকে সুলতান চিঠি দেন।
বনমন্ত্রী অবশ্য মনে করেন, এতে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। দফতরের কাজে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কে নেবেন, সে প্রশ্নের জবাবে তাঁর বক্তব্য, “দৈনন্দিন কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সুলতান সমস্ত কাজ দেখভাল বা তদারকি (মনিটরিং) করতে পারবেন। তবে নির্দেশিকা জারি করতে পারবেন না। অতনু রাহা নির্দেশ জারি, ফাইল দেখার মতো দায়িত্ব সামলালেও তাঁকে দফতরের সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
সুলতান না অতনুবাবু, কে পদাধিকার বলে ঊর্ধ্বতন? বনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, “দফতরে চার জন পিসিসিএফ আছেন। সুলতান তাঁদেরই মধ্যে এক জন এবং ‘হেড অফ দ্য ফরেস্ট’। অনেকটা পরিবারের অভিভাবকের মতো।” এম এ সুলতানের চিঠির ব্যাপারে হিতেন বাবু জানান, দফতরে চিঠি এলে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি তা দেখে উত্তর পাঠিয়ে দেবেন। এ দিন অনেক চেষ্টা করেও অতনুবাবু বা এম এ সুলতানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |