|
|
|
|
বেসুতে র্যাগিং, নালিশ ইউজিসি-কে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বা বেসু-র তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে র্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত চতুর্থ বর্ষের সাত জন ছাত্র। পুলিশি সূত্রের খবর, যাঁর উপরে র্যাগিং হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁর নাম শীর্ষক দে। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া। অভিযোগ, সমাবর্তনের আগের দিন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর হস্টেলের বাসিন্দা শীর্ষককে মারধর করে সেনগুপ্ত হস্টেলের এক দল ছাত্র। শীর্ষক সে-দিনই বিষয়টি বেসু-কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু বেসু-র তরফে পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
বেসু-কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরে দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলা হয়। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন কর্তৃপক্ষ। পরে অভিযুক্তদের মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি জানানো হয় দোষী ছাত্রদের অভিভাবকদেরও। যদিও ওই র্যাগিং নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে খুশি হতে না-পেরে জখম ছাত্রটি ই-মেলের মাধ্যমে দিল্লিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র কাছে র্যাগিংয়ের কথা জানান। ওই মেল পেয়েই ইউজিসি-কর্তৃপক্ষ হাওড়া পুলিশকে মেল করেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান। ইউজিসি-র মেল পেয়েই পুরো বিষয়টি জানতে পারে শিবপুর থানার পুলিশ। হাওড়ার ডিসি (সদর) সুকেশকুমার জৈন বলেন, “বেসু থেকে এ বিষয়ে লিখিত ভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। দিল্লি থেকে মেল পেয়ে বেসু-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বেসু-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ওই র্যাগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে দোষী ছাত্রদের।” যদিও এ-সবের কিছুই আগে পুলিশকে জানানো হয়নি বলে মন্তব্য করেন ওই পুলিশকর্তা। যদিও এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করাটাই নিয়ম বলে ইউজিসি সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কেন সেই নিয়ম মানা হয়নি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বেসু-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জরিমানা করার পরেও শীর্ষক সন্তুষ্ট হননি। পরে এই নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়। কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। ৭ মার্চের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট জমা পড়বে।” |
|
|
|
|
|