|
|
|
|
ডোমজুড়ে পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে মারামারি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড় |
পুকুর ভরাটের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে হাওড়ার ডোমজুড়ের কোলড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন নাগপাড়া-বাগপাড়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই এলাকায় একটি পুরনো পুকুর রয়েছে। সেটিকে বেআইনিভাবে এ দিন ভরাট করতে আসেন ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেস সদস্য তথা খাদ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মহসিন মুফতি এবং তাঁর তরফের বেশ কিছু লোকজন। গ্রামবাসীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের সঙ্গে পুকুর ভরাট করতে আসা লোকজনের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। গ্রামবাসীদের কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয় হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ এবং র্যাফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আজ সোমবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডোমজুড়ের বিডিও বিষ্ণুব্রত ভট্টাচার্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই এলাকায় একটি পুকুর রয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা এটি ব্যবহার করেন। তাঁদের অভিযোগ, মহসিনের নেতৃত্বে তাঁর বেশ কিছু অনুগামী সপ্তাহখানেক আগে পুকুরটির কিছুটা অংশ ছাই ফেলে ভরাট করেন। সেই সময় গ্রামবাসীরা বিডিও-সহ বিভিন্ন মহলে এর প্রতিবাদে স্মারকলিপি দেন।
রবিবার দুপুরে ফের পুকুরটিতে ছাই ফেলা শুরু হয়। গ্রামবাসীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের সঙ্গে ছাই ফেলতে আসা লোকজনের বিবাদ বেধে যায়। তা থেকে বাধে মারপিট। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একটি ক্লাব ঘর এবং মুদিখানার দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। অন্য দিকে পুকুর ভরাট করতে আসা লোকজনের পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের উপরেও গ্রামবাসীরা চড়াও হন। তাঁদের কয়েকজনকে বেধড়ক মারধরও করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের পক্ষে ‘জলাভূমি বাঁচাও কমিটি’-র সভাপতি অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই পুকুরটি পুরোপুরি বেআইনিভাবে ভরাট করা হচ্ছে। পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে গ্রামবাসীরা অসুবিধায় পড়বেন। পরিবেশেরও ক্ষতি হবে।” অন্য দিকে মহসিন বলেন, “এটি বাগান হিসাবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে রেকর্ড করা হয়েছে। সেটা দেখেই আমি এটি কিনেছি। পুকুর কিছুটা থাকলেও তার পাড় ভেঙে বাগানটির অনেকটা তলিয়ে গিয়েছে। আমি সেই অংশটি ছাই ফেলে বাঁধাচ্ছি। পুকুরটি অক্ষত থাকবে। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে আমি বেআইনি কাজ করব না এটা বলতে পারি।”
বিডিও বলেন, “সপ্তাহখানেক আগে গ্রামবাসীরা আমাকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে পুকুরটি কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে চেয়েছি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে। বিবদমান দু’টি পক্ষ এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বসে সমস্যাটি খতিয়ে দেখা হবে।” জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটি পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে একটা সমস্যা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|