|
|
|
|
উড়ান বন্ধ করা নিয়ে জল্পনা ওড়াল কিংফিশার |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
উড়ান বন্ধ হয়ে যাওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিল কিংফিশার এয়ারলাইন্স। সংস্থা জানিয়েছে, পরিষেবা চালু রাখতে সব রকম চেষ্টাই চালানো হচ্ছে। যেমন তাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফের চালু করার ব্যাপারে কর বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এবং তাদের আশা, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। উড়ান পরিষেবা বিঘ্নিত হলে সঙ্কট আরও বাড়তে পারে আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা এই সংস্থাটির। বিশেষ করে সংস্থার সিইও সঞ্জয় অগ্রবালের সঙ্গে পাইলটদের এক প্রতিনিধিদলের বৈঠকের পরে এ নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। প্রতিনিধিদলের একাংশের দাবি, বৈঠকে কর্মীদের পাওনাগণ্ডার (যা গত ডিসেম্বর থেকে বকেয়া রয়েছে) বিষয়ে অন্তত ১০ মার্চের আগে কোনও রকম আশ্বাস দিতে রাজি হননি তিনি। উল্টে পাইলটেরা কাজে না-এলে সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সংস্থার সিইও অগ্রবাল।
এক বিবৃতিতে কিংফিশারের অবশ্য পাল্টা দাবি, সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনও কথা ওঠেনি। সে রকম আশঙ্কাও নেই। পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্যই সংস্থার ওই কর্তা পাইলটদের কাজ থেকে বিরত না থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন। সংস্থাটির আরও দাবি, কী ভাবে গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, সে ব্যাপারে তারা সব দিক দিয়ে সচেষ্ট। পরিষেবা কর বিভাগ যে সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে তা শীঘ্রই চালু করে কর্মীদের বেতন মেটানো-সহ গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ওই বিভাগের সঙ্গে তারা আলোচনা চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, সংস্থার কাছে ওই বিভাগের প্রায় ৪০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে রফাসূত্র খোঁজার ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ মহলে আশ্বাস দিয়েছেন কর্ণধার বিজয় মাল্যও। যদিও কী ভাবে সেই সমাধান মিলবে তা নিয়ে সংস্থার মধ্যে ধন্দ রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে সংস্থার কর্ণধারের আশ্বাস ও গত ক’মাস ধরে তাঁর ছুটোছুটি দেখে কিছুটা আশার সঞ্চারও হয়েছে। বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ ইঙ্গিত দিয়েছেন, সংস্থাটির লাইসেন্স পুরোপুরি কেড়ে না নিয়ে সাময়িক ভাবে বাতিল করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সঙ্কটমুক্তির পরে ফের পরিষেবা চালু করতে সংস্থাটির সমস্যা হবে না। |
|
|
|
|
|