|
|
|
|
সংস্কারই রক্ষণশীলতা থেকে মুক্তি দিয়েছে, বললেন রতন টাটা |
সংবাদসংস্থা • জামশেদপুর |
আর্থিক সংস্কারের সঙ্গে পা মিলিয়ে বদল এসেছিল ‘রক্ষণশীল’ বলেই পরিচিত টাটা গোষ্ঠীতেও। এবং সেই সূত্রেই আজ আন্তর্জাতিক শিল্পমহলেও আলাদা একটি জায়গা করে নিয়েছে এই ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থাটি। এ ভাবেই দেশের আর্থিক সংস্কার তাঁদের শিল্প গোষ্ঠীকে কী ভাবে বদলে দিয়েছে, সে কথা শোনালেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান রতন টাটা।
এখানে টাটা স্টিলের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটার ১৭৩তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরসূরি সাইরাস মিস্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন রতন টাটা। সিংভূম চেম্বারের এক সভায় টাটা বলেন, “সংস্কারের ব্যাপারে আমরা যথেষ্টই রক্ষণশীল ছিলাম। কিন্তু ১৯৯১-তে আর্থিক সংস্কারের সূচনালগ্নে ভারতের বাজার আন্ডর্জাতিক দুনিয়ার সামনে খুলে যাওয়ার পরে আমরাও পরিবর্তন আনার চেষ্টা করলাম।”
তাঁর দাবি, খোলা বাজারে অন্য সংস্থার চেয়ে তাঁরা ভাল ব্যবসা করেছেন। আর এখন এই বৃহৎ গোষ্ঠীটি বিশ্ব জুড়ে নিজেদের ‘ব্র্যান্ড-নাম’ বা পরিচিতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
১৯৯২ সালে রতন টাটা যখন টাটা সন্সের দায়িত্বভার নেন, তখন টাটা গোষ্ঠীর ব্যবসার অঙ্কটা ছিল মাত্র ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার (২৫ হাজার কোটি টাকা)। এখন সেই সংখ্যাটা ১০ হাজার কোটি ডলার (৫ লক্ষ কোটি টাকা) ছুঁতে চলেছে। বিশ্বের অন্য বহুজাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই বৃহৎ গোষ্ঠী কোরাস এবং জাগুয়ার-ল্যান্ডরোভারের মতো সংস্থা অধিগ্রহণ করেছে।
বিশ্বে আলাদা জায়গা তৈরি করলেও দেশের উন্নয়নেও সমান তালে শরিক হওয়ার দিকে নজর সর্বদাই রয়েছে টাটা গোষ্ঠীর। আদিত্যপুর স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনকেও তাঁর আশ্বাস, সেখানকার উন্নয়নের অংশীদার হতে ইচ্ছুক টাটা গোষ্ঠী। ঠিক যে ভাবে সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই রাজ্যে আরও একটি বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|