টুকরো খবর
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত ব্যবসায়ী
স্ত্রীকে নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে বর্ধমানের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে ধৃত এই ব্যবসায়ীর নাম বেণু দত্ত। তিনি বেশ কয়েকটি চালকালের মালিক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বেণুবাবুর বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী মৌসুমিদেবী। রবিবার জামিন অযোগ্য ধারায় বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের বাড়ি থেকে ধৃত ব্যবসায়ীকে পুলিশ বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলে। বিচারক তাঁকে ১২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মৌসুমিদেবী গত ১ মার্চ দায়ের করা অভিযোগে জানান, তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর স্বামী প্রায় প্রতি রাতেই শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেন। তাতে বহু বার অসুস্থ হলেও পারিবারিক সম্মানের কথা ভেবে তিনি এত দিন কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। কিন্তু অত্যাচার আর সহ্য না করতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। মৌসুমিদেবী অভিযোগ করেন, চূড়ান্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি তিনি বাপের বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বিবাহিতা মেয়ে বাবাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফের স্বামীর বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু সেই রাত থেকেই স্বামী তাঁকে একটি ঘরে আটকে রেখে সারা রাত মারধর, এমনকী শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করেন বলে অভিযোগ। মেয়েদের সহায়তায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। রবিবার হাসপাতালে গিয়ে অবশ্য ওই মহিলাকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তিনি আপতত সুস্থ হয়ে বাপের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

সন্দেহভাজনদের ছবি নিয়ে তল্লাশি
ট্রেনে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ধৃত দু’জনকে নিয়ে রাতভর তল্লাশি চালাল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, রবিবার বীরভূমের লাভপুর ও মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এক জনকে আটক করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়া-আমোদপুর ন্যারোগেজ লাইনের ট্রেনে উঠে লুঠপাট ও ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার রাতে বীরভূমের লাভপুর থেকে ফরিদ শেখ ও নয়ন শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার কাটোয়া আদালত ধৃতদের দশ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এর আগে ঘটনার পরেই ডাকাতির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই দু’জনকে আজ ফের কাটোয়া আদালতে হাজির করানো হবে। শনিবারই ধর্ষণের অভিযোগকারিণীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ দুই সন্দেহভাজনের ছবি এঁকেছিল। সেই ছবি নিয়ে ওই রাতেই কেতুগ্রাম থানার পুলিশ তল্লাশিতে যায়। এক জনকে আটক করা হয়েছে।

আগুনে ছাই তিনটি বাড়ি
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল পর পর তিনটি বাড়ি। রবিবার দুপুরে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পিলা গ্রামের তিনটি বাড়িতে আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিনটি বাড়ি পুষ্প হালদার ও তাঁর দুই ছেলে গোবরা হালদার ও কেষ্ট হালদারের। এ দিন দুপুরে তাঁরা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। গোবরা হালদারের বাড়িতে রান্না চাপিয়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। আচমকা ওই ঘরে আগুন লাগে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে পাশের দু’টি বাড়িতেও। বাসিন্দারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব কিছু পুড়ে যায়। এমনকী কেষ্টবাবুর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছেলের বইপত্রও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জামাল দফাদার জানান, গ্রামবাসীরা চাল, ত্রিপল ইত্যাদি নিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়ালেও তা পর্যাপ্ত নয়। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানসী দাস বলেন, “আপাতত কাপড় চাল, ত্রিপল দিয়ে পরিবারটিকে সাহায্য করা হবে। নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”

আবদুস সাত্তার কেন্দ্রের নতুন ভবন
আবদুস সাত্তার সমাজকল্যাণ কেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন হল শনিবার। কালনা ২ ব্লকের টোলা গ্রামে চার শতক জমির উপর গড়ে ওঠা ওই ভবনটির উদ্বোধন করেন মহকুমাশাসক (কালনা) সুমিতা বাগচি। উল্লেখ্য, ১৯৬১-এ পশ্চিমবঙ্গের শ্রমমন্ত্রী ছিলেন আবদুস সাত্তার। টোলা গ্রামেই তাঁর জন্ম। ১৯৫২ সালে কাটোয়া-কালনা কেন্দ্রের নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন তিনি। তাঁর স্মৃতিতেই কয়েক বছর আগে তৈরি হয় সমাজকল্যাণ কেন্দ্রটি। এত দিন অস্থায়ী ভবন থেকেই চলছিল নিখরচায় চক্ষুপরীক্ষা থেকে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের বই কিনে দেওয়ার কাজ। ওই কেন্দ্রের সম্পাদক প্রণব রায় বলেন, “ওই ভবন নির্মাণে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ভবনটি তৈরির জন্য রাজ্য সরকার, সাত্তারের পরিবার ও এলাকার মানুষ প্রভূত সাহায্য করেছেন।”

মন্দিরে চুরি, ধৃত ৩
রাধাগোবিন্দ মন্দিরে চুরির ঘটনায় তিন কিশোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার তাদের কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে দশঘরিয়া এলাকার বিশ্বাস বাড়ির রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি হয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে সেই গয়নার বেশির ভাগই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

থানায় বিক্ষোভ
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঝুলন্ত দেহ মেলে রেখা রামের (২২)। পরের দিন, ২৮ তারিখ তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও দেওর-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর বাবা, ধানবাদের বাসিন্দা সুধীরকুমার রামানে। বেশ কয়েক দিন কেটে গেলেও গ্রেফতার করা হয়েছে কেবল মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে। রবিবার অন্ডাল থানায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অবিলম্বে বাকিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনেরা। পুলিশ জানিয়েছে, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.