|
|
|
|
অভিযোগ কাটোয়ায় |
নাম একই, ‘ভুল’ লোককে ধরে পুলিশি হেনস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
শুধু নামে মিল থাকায় ‘প্রকৃত’ অভিযুক্তের জায়গায় চার দিন ধরে অন্য এক জনকে পুলিশ হয়রান করছে বলে অভিযোগ। কাটোয়া শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ওই ওয়ার্ডের সুবোধ স্মৃতি রোডের বাসিন্দা নিমাইচন্দ্র পণ্ডিত (বাবার নাম সুন্দরগোপাল পণ্ডিত) রবিবার বিকেলে এসডিপিও (কাটোয়া)-র কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, গাড়ি দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত নিমাই পণ্ডিতের বদলে কাটোয়া পুলিশ বারবার তাঁকে হয়রান করছে। পুলিশি ‘নির্যাতন’, ‘হয়রানি’ বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এসডিপিও ধ্রুব দাস বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
কাটোয়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনায় সুবোধ স্মৃতি রোডেরই বাসিন্দা নিমাই পণ্ডিতকে (বাবার নাম দুলাল পণ্ডিত) কালনা এসিজেএম আদালত ২ হাজার টাকা জরিমানা করে। কিন্তু সেই জরিমানা না দেওয়ায় গত বছর ১৫ ডিসেম্বর আদালত তাঁর কাছ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা অথবা সম মূল্যের জিনিস বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী নিমাইচন্দ্র পণ্ডিতের বাড়ি কেতুগ্রাম থানার বাকলসা গ্রামে। বছর দু’য়েক আগে মেয়ের পড়াশোনার জন্য তিনি সুবোধ স্মৃতি রোডে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার পুলিশ নিমাইবাবুর খোঁজে তাঁর দাদা তনয়কুমার পণ্ডিতের বাড়ি যায়। সেখানে তাঁকে দেখতে না পেয়ে তনয়বাবুর সঙ্গে অভব্য আচরণ করে বলে অভিযোগ। নিমাইবাবু বলেন, “দাদাকে নিয়ে পুলিশ আমার বাড়িতে যায় ও স্ত্রীর কাছে ২ হাজার টাকা চায়। আমার দাদা ও স্ত্রী দু’জনেই পুলিশকে জানান, আমি কোনও গাড়ি দুর্ঘটনায় জড়িত নই। এর পরেও শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ ফের চার পুলিশকর্মী আমার বাড়িতে গিয়ে জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিতে থাকেন।”
এর পরে শনিবার থানায় যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, “থানায় প্রমাণপত্র দেখিয়ে জানাই, অভিযুক্তের বাবার নাম ও আমার বাবার নাম আলাদা। তা সত্ত্বেও ওই অফিসার বলতে থাকেন, মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই নাকি আমি বাবার নাম পরিবর্তন করেছি।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভিযুক্ত ‘প্রকৃত’ নিমাই পণ্ডিত ওই এলাকায় প্রায় ২৫ বছর ধরে রয়েছেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক।
কিন্তু বাবার নাম, ঠিকানা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও চার দিন ধরে কেন হয়রান করা হল নিমাইচন্দ্র পণ্ডিতকে? কাটোয়া থানার ওসি সনৎ দাস বলেন, “এলাকার লোকজন আমাদের কর্মীদের সম্ভবত ওই নিমাই পণ্ডিতের বাড়ি দেখিয়ে দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে। তাছাড়া উনিও তো আমাদের ভুল ধরিয়ে দেননি।” কিন্তু দুর্ব্যবহারের অভিযোগ? সনৎবাবুর জবাব, “উনি মিথ্যা বলছেন।” |
|
|
|
|
|