|
|
|
|
উঁচু থেকে পড়ে মৃত্যু শ্রমিকের |
নিরাপত্তার বালাই নেই, অভিযোগ করলেন কর্মীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
দুর্ঘটনার পরে রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের ওই কারখানায় কর্মীদের জটলা। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।ছাদ সংস্কার করার সময়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক ঠিকা শ্রমিকের। রবিবার রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি লোহার যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কুশকুমার রাজভর (৩২)। বাড়ি ডিটিপিএস কলোনির ৩ নম্বর ইউনিটে। এ দিনই তিনি প্রথম কাজে যোগ দিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরেই কারখানার বাকি কর্মীরা কাজ বন্ধ করে একজোট হন। তাঁদের অভিযোগ, কারখানায় নূন্যতম নিরাপত্তাবিধি মানা হয় না। যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। মৃত শ্রমিকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরও কয়েক জনের সঙ্গে এ দিন ছাদে অ্যাসবেস্টস লাগানোর কাজ করছিলেন কুশকুমার। এ দিনই তিনি কাজে যোগ দেন। কাজ করতে করতে হঠাৎ পা হড়কে যায় তাঁর। অভিযোগ, ছাদের বিমের সঙ্গে বেল্ট দিয়ে তাঁর শরীর বাঁধা না থাকায় প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু থেকে তিনি মেঝেতে পড়ে গুরুতর জখম হন। সহকর্মীরা তাঁকে ভর্তি করান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সহকর্মী ছোটু রায় বলেন, “কাজ করতে করতে হঠাৎ একটি আওয়াজ শুনে ছুটে যাই। দেখি কুশকুমার মাটিতে পড়ে ছটফট করছেন। ডান হাত ভেঙে গিয়েছে। সবাই মিলে ধরাধরি করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।কিছুক্ষণ পরেই সেখানে তিনি মারা যান।”
এ দিন কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, অ্যাসবেস্টসের টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। সাধারণ জামাকাপড়, পায়ে হাওয়াই চপ্পল পড়েই কাজে যোগ দিয়েছেন কর্মীরা। অধিকাংশের মাথায় হেলমেট নেই। রবিবার, ছুটির দিন বলে কারখানায় কোনও আধিকারিক ছিলেন না। তবে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে কারখানার এক আধিকারিক দীপক বসু বলেন, “মৃতের পরিবারকে আইনানুগ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” তবে নিরাপত্তা বিধি নিয়ে তিানও অব্যবস্থার কথা তিনি মানতে চাননি। তিনি বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|