কুষ্ঠ-আক্রান্তদের মাসিক ভাতা প্রদানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, প্রতিটি কুষ্ঠ কলোনিবাসীর বাসগৃহের জমির পাট্টা প্রদানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া-সহ মোট দশ দফা দাবিতে সোমবার পশ্চিম মেদিমীপুর জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হল ‘সারা বাংলা কুষ্ঠ-কল্যাণ সমিতি’। নেতৃত্ব দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাধাবল্লভ পণ্ডা, সম্পাদক যগেন দাস প্রমুখ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় কুষ্ঠ-কলোনি রয়েছে। যেমন, মেদিনীপুরের তাঁতিগেড়িয়া, খড়্গপুরের নিমপুরা। কিন্তু, এই কলোনিগুলির দেখভাল সে ভাবে হয় না বলেই অভিযোগ। কলোনিবাসীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ভাবে বসবাস করার পরেও তাঁদের বাসগৃহের কোনও আইনি অধিকার নেই। জমির পাট্টাও দেওয়া হয়নি। আবার সরকারি উদ্যোগে বাড়ি তৈরির ব্যবস্থাও হয়নি। কুষ্ঠ-কলোনির বেকার যুবক-যুবতী ও রোগমুক্ত ব্যক্তিদের একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে সমিতি। সমিতির সম্পাদক যগেন দাস বলেন, “আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে দশ দফা দাবি জানিয়েছি। প্রশাসনের তরফে দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস মিলেছে। কিন্তু বাস্তবে কিছু না হলে আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হব।” এ দিন মেদিনীপুর শহরে মিছিল করে জেলা পরিষদ চত্বরে আসেন সমিতির লোকজন।
|
হাসপাতালে ভাঙচুর হিরাপুরে |
দুর্ঘটনায় বিসি কলেজের ক্রীড়া সম্পাদকের জখম হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইস্কো হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগ উঠল কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ ওই ক্রীড়া সম্পাদক শুভেন্দু দাস মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। বৈষ্ণববাঁধের কাছে বাইক উল্টে তিনি জখম হন। তাঁকে ইস্কো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক এস প্রসাদ তাঁর মাথায় সেলাই করা ও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করেন। সেই সময় তন্ময় রাউথ, ঋজু হাঁসদা প্রবীর মুখোপাধ্যায় ও সুগাই আচার্যদের নেতৃত্বে কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁকে হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়ার দাবি জানানো হয়। তখন ওই চিকিৎসক তাঁদের জানান, এটি তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে। এপ পরে হাসপাতালে ভাঙচুর ও চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে ওই চার জনকে গ্রেফতার করে। তবে তৃণমূলের ব্লক নেতা প্রবোধ রায়ের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
|
শিশু মৃত্যুর তদন্তের দাবি |
বান্দোয়ানে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে সোমবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপি দিল এসইউসি। এসইউসি নেতা রঙ্গলাল কুমারের অভিযোগ, “চিকিৎসার গাফিলতিতে বান্দোয়ানে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আমরা ওই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছি। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে কোয়ার্টারে বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করা ও রোগীর পরিজনদের সঙ্গে মানবিক আচরণের দাবি জানিয়েছি।” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিশিকান্ত হালদার বলেন স্মারকলিপি পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত হবে। উল্লেখ্য ওই শিশুমৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করা হয়।
|
বন্ধ্যাকরণ না করে শবর গোষ্ঠীর মহিলাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে শনিবার মানবাজার ২ ব্লকের বারি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাল শবর গোষ্ঠীর লোকজন। বারি জাগদা গ্রাম পঞ্চায়তের প্রধান সিপিএমের আকাল শবরের অভিযোগ, “শবর গোষ্ঠীর লোকেরা আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে সাহস পেতেন না। শনিবার শবরদের কয়েক জন মহিলা স্বেচ্ছায় বন্ধ্যাকরণ করাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। এক স্বাস্থ্যকর্মী তাঁদের তাড়িয়ে দেন। আমরা ওই কর্মীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামকিঙ্কর হাঁসদা বলেন, “ঘটনার কথা জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”
|
লক্ষ্মণবাবুদের ডেন্টাল কলেজে ফের পরিদর্শন |
সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আইকেয়ার’ পরিচালিত ডেন্টাল কলেজে ফের পরিদর্শনে এলেন ডেন্টাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিআই) প্রতিনিধি। সোমবার ডিসিআই পরিদর্শক সব্যসাচী সাহা কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরিদর্শনের রিপোর্ট ডিসিআইয়ে জমা দেবেন বলে সব্যসাচীবাবু জানান। কলেজ সূত্রের খবর, ডেন্টাল কলেজের নতুন একটি ভবনে কাজকর্ম ঠিক ভাবে চলছে কি না, তা দেখতেই পরিদর্শন ডিসিআই প্রতিনিধির। |
চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে সোমবার উত্তেজনা ছড়াল ব্যারাকপুরের একটি নার্সিংহোমে। এই ঘটনায় নার্সিংহোমের দুই কর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ব্যারাকপুর তালপুকুরে ওই নার্সিংহোমে রবিবার ভর্তি হন শ্যামনগরের কমলিকা ঘোষ (২৫)। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই সময়ে তাঁকে কোনও চিকিৎসক দেখেননি বলে অভিযোগ। মৃতার পরিজনেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয় বলেও অভিযোগ। এর পরে দুই পক্ষে অশান্তি বাধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় নার্সিংহোমের সিইও দীপঙ্কর শতপথী ও আর এক কর্তা সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে টিটাগড় থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। |