বহরমপুরের খাগড়া-সোনাপট্টি এলাকার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সোনা ও টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা পুলিশের দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের একটি মোটরবাইক।
জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব ওই এলাকায় পুলিশ টহল চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে, পুলিশের গাড়ি যারা ভাঙচুর করেছে তাদেরও খোঁজ চলছে।” |
খাগড়া-সোনাপট্টির স্বর্ণ ব্যবসায়ী জয়দেব সিংহের দাবি তাঁর ছিনতাই হওয়া ব্যাগে ৫ ভরি সোনা ও নগদ প্রায় ১০ হাজার টাকা ছিল। জয়দেববাবু বলেন, “এ দিন সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করার জন্য সবে ‘সাটার’ নামিয়েছি। হাতের কাছে সোনা ও টাকা ভর্তি ব্যাগটি রেখে তালা লাগাচ্ছিলাম। ব্যাগটি তুলতে যাব এমন সময় একটি মোটর বাইকে ২ জন এসে ব্যাগটি ছোঁ মেরে নিয়েই চম্পট দেয়।” ওই দোকান থেকে ৪টি দোকান পরে পুলিশ ফাঁড়ি। এ কারণে ক্ষিপ্ত জনতা ওই ঘটনার পরই ফাঁড়ি ঘেরাও করেন। ব্যাগ ছিনতাই ও ফাঁড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনার খবর পেয়েই বহরমপুর থানার আই সি মেহাইমেনুল হক সোনাপট্টিতে পৌঁছে যান। সঙ্গে আর একটি গাড়িতে ছিলেন অন্য পুলিশ কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ বার ক্ষিপ্ত জনতা ফাঁড়ি ছেড়ে দিয়ে পুলিশের গাড়ির উপর চড়াও হয়।
ক্ষিপ্ত জনাতা গাড়ি ভাঙচুর করে ও মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে এ বার ঘটনা স্থলে পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনাপ্পা ই। ঘটনাস্থলে যান বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী ও পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য। যাঁর সোনা ও টাকা ছিনতাই হয়েছে সেই জয়দেব সিংহের দোকানের পাশের বাড়িটিই জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাসের। অশোকবাবু বলেন, “সোনাপট্টিতে হামেশাই ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। অথচ প্রতিবারই পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও সোনাপট্টির আইন-শৃঙ্খলা কার্যত ভেঙে পড়েছে।” |