বরাহনগরের মহিলাকে ধর্ষণের পরে নৃশংস অত্যাচার চালানোর ঘটনায় ধৃত দিলীপ সোনারকে দশ দিন পুলিশ হেফাজত দিল ব্যারাকপুর আদালত। শনিবার থেকে দফায় দফায় দিলীপকে পুলিশ জেরা করে। কিন্তু তার বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় তদন্তকারীদের সন্দেহও বাড়তে থাকে। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে ধর্ষিতা ওই মহিলা যা বলেছিলেন, তা পুরো ঠিক নয় বলে মনে করছে পুলিশ। রবিবার আরও তিন জনকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, আংটি কেনা নিয়ে ওই মহিলা ও দিলীপের মধ্যে গোলমাল চলছিল। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দাপ্রধান দীপনারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই দিলীপ তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করছিল। ওই লোকটির কাছ থেকে ধর্ষণের বিষয়ে কিছু তথ্য মিলবে বলে আশা করছি। তবে প্রতিহিংসা থেকেই এই কাজ বলে মনে হচ্ছে।’’
|
চোরাই মোটরবাইকে চেপে মহিলাদের হার ছিনতাই করে পালাত কিছু দুষ্কৃতী। ওই ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ জনকে সোমবার গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম আকাশ সিংহ, সাগর বর্মা, ধীরাজ সিংহ, রণজিৎ সিংহ ও সঞ্জয় সোনকার। ডিসি (ইএসডি) সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ধৃতদের কাছে চারটি সোনার চেন ও একটি মোটরবাইক মিলেছে। পুলিশের দাবি, বাইকটিও চোরাই। পুলিশ সূত্রের খবর, সিআইটি রোড এলাকায় মাস তিনেক ধরে ‘অপারেশন’ চালাচ্ছিল ওই দুষ্কৃতীরা। সল্টলেকেও সক্রিয় ছিল চক্রটি। ডিসি (ইএসডি) জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি ফুলবাগানে এক মহিলার হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর চিৎকারে পুলিশকর্মীরা ধাওয়া করে রণজিৎ নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরেন। তাকে জেরা করে খোঁজ মেলে বাকিদের। পুলিশ জানায়, ওই চক্রে কমপক্ষে আরও ৩-৪ জন জড়িত। তাদের খোঁজ চলছে। রণজিতের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হয়েছে। বাকিরা পুলিশ হেফাজতে।
|
বিধিসম্মত নির্মাণের শংসাপত্র (সিসি) পাওয়ার আগেই কলেজ স্ট্রিট বাজারে একটি দোকান খোলার অভিযোগে সোমবার বিক্ষোভ দেখালেন বাজারের একদল ব্যবসায়ী। তাঁদের দাবি, পুরসভা ও দমকলের ছাড়পত্র আসার আগেই বেআইনি ভাবে দোকান খোলা হয়েছে। প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ বাজারের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে ঘেরাও করেন তাঁরা। পরে পুরসভায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরেও বিক্ষোভ দেখান। মেয়র পারিষদ (পুর-বাজার) দেবাশিস কুমার বলেন, “পুরসভা এখনও ওই বাজার চালুর অনুমোদন দেয়নি। তবে দোকানটি অনুমতি নিয়েছে কি না দেখতে হবে।” ওই দোকানের পক্ষে স্বরূপ ঘোষ বলেন, “কোনও বেআইনি কাজ করিনি। পাঁচ বছর হল। আর কত দিন দোকান বন্ধ করে থাকব? পুরসভা আমাদের হাতে দোকানের চাবি দিয়েছে। তাই খুলেছি।” |