শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল জামুড়িয়ার দরবারডাঙা এলাকায়। দুই দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কৌস্তভ চক্রবর্তীর অভিযোগ, এ দিন বন্ধের বিরোধিতায় তাঁরা মিছিল বের করেছিলেন। সেইসময়ে মিছিলকে লক্ষ করে সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মধু মণ্ডল কটূক্তি করেন। তার প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের কর্মী সোরেন সো মণ্ডলকে মারধর করে সিপিএমের লোকজন। বিপদ বুঝে সোরেন বাড়ির দিকে পালাতে যায়। সেখানেও তাকে ধাওয়া করে তারা। পুলিশ গিয়ে সোরেনকে উদ্ধার করে আকলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিপিএমের জামুড়িয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্তের পাল্টা অভিযোগ, “এ দিন সকালে পাকা রাস্তা সংলগ্ন খাসজমি জবরদখল করে দোকানঘর তুলছিলেন সোরেন ও কেনারাম। স্থানীয় বাসিন্দারা তার প্রতিবাদ করে। চাপের মুখে তখনকার মতো পিছু হটে তারা। বিকেল ৫টায় মিছিল শুরু করেছিল তৃণমূল। মিছিল শেষ হওয়ার মুখে সিপিএম সমর্থক বিশ্বনাথ মণ্ডল তাদের সামনে পড়ে যায়। এরপরেই তৃণমূলের সোরেন সো মণ্ডল ও কেনারাম মণ্ডলের নেতৃত্বে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।” পুলিশ জানায়, বিশ্বনাথ বাবুর ভাই সত্যম বাউড়ি এ দিন রাত ৮টা নাগাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ দিন রানিগঞ্জ শহরেও মিছিল করে দুই দল। তৃণমূলের যুবনেতা সদানন্দ গড়াইয়ের নেতৃত্বে বন্ধের প্রতিবাদে তৃণমূলের একটি মিছিল বেরিয়েছিল। এছাড়াও তিরাত, অন্ডাল, উখড়া, হরিপুর, পাণ্ডবেশ্বরের বিভিন্ন অঞ্চলেও দুই দল মিছিল করেছে। বন্ধকে সমর্থন করে এ দিন পাণ্ডবেশ্বরের নকশাল সংগঠন পিসিসি-সিপিআইএমএল একটি মিছিল করে।
কাঁকসায় মিছিল। বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা বন্ধের সমর্থনে সিপিএম মিছিল করল কাঁকসায়। কাঁকসা জোনাল অফিস থেকে মিছিল শুরু হয়ে রনডিহা মোড় হয়ে রেল কলোনিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বক্তৃতা করেন জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বীরেশ্বর মণ্ডল। ছিলেন কাঁকসা জোনাল কমিটির সম্পাদক অলোক ভট্টাচার্য। |