|
|
|
|
নিগমের ঘোষণার প্রতিবাদ |
আন্দোলনে পথে কর্মীরা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম কর্তৃপক্ষ ১০টি ডিপো এবং স্টেশন তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় ব্যাপক প্রতিক্রয়া সৃষ্টি হল যাত্রী, কর্মী ও রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার মালদহের চাঁচলে সিটু এবং আইএনটিইউসি যৌথ ভাবে আন্দোলনে নামে। ইসলামপুরে ডিপো রক্ষা কমিটি গঠন করা হয় শহরের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে। তুফানগঞ্জে এক ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে মালবাজারেও। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ডিপোর সংখ্যা কমানো হলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে নামার হুমকি দেয় সিপিএম। নিগম কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশটি ডিপো তুলে দেওয়া হলেও কর্মীদের উপরে কোনও কোপ পড়ছে না। এটা সংস্থাকে গুটিয়ে ফেলার প্রক্রিয়ার মতো বিষয়ই নয়। উত্তরবঙ্গ রাস্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সি মুরুগন বলেন, “খরচ কমিয়ে সংস্থা বাঁচাতেই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরিষেবাও ব্যাহত হবে না।” এদিন দুপুরে রায়গঞ্জে সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই হুমকি দেন দলের জেলা সম্পাদকমন্ডলী ও রাজ্য কমিটির সদস্য সুবীর বিশ্বাস। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ইসলামপুর-সহ নিগমের একাধিক ডিপো তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে। ডিপোর সংখ্যা কমানো হলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে যাত্রী পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়বে। তাই নিগমের ডিপোর সংখ্যা কমানো হলে দলের তরফে উত্তরবঙ্গ জুড়ে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু করা হবে।” চাঁচল ডিপোকে মালদহের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় পথে নামে দুই শ্রমিক সংগঠন। মহকুমা সদর জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করার পাশাপাশি পথসভা করেও বিক্ষোভ জানানো হয়। ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে দুই শ্রমিক সংগঠন জোরদার আন্দোলন করবে বলেও দুই সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে। ওই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী-সহ মহকুমার বাসিন্দারা। সিটুর চাঁচল-১ ব্লকের আহ্বায়ক মনওয়ার আলম বলেন, “কোনও সংস্থা রুগ্ন হলে বন্ধ করে বা তুলে দিয়ে সমস্যা মেটানো যায় না। সরকারের উচিত ওই সংস্থার পুনরুজ্জীবন ঘটাতে ব্যবস্থা নেওয়া।” আইএনটিইউসি নেতা দেবব্রত ভোজও জানান, যেভাবেই হোক চাঁচল ডিপো তুলে দেওয়া রুখব। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মানব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আবেগে চললে কিছু হবে না। চাঁচলে কর্মীর অনুপাতে যে কটা বাস চলে তাতে ওই ডিপো তুললে লাভই হবে।” ক্ষুব্ধ পরিবাহণ কর্মীরা জানান, চেয়ারম্যান পদে বসার পরে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ডিপো পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন পর্যটনের স্বার্থে এই ডিপোটিকে বড় আকারে পরিণত করা হবে। তৃণমূল সমর্থিত জলপাইগুড়ি বেসরকারি জেলা বাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের মালবাজার শাখার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা খুশি নই। ডিপো সরে গেলে মালবাজারের উন্নয়ন থমকে যাবে।” মালবাজার টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানসকান্তি সরকার জানান, ডিপো বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবেন তাঁরা। পুরসভার সিপিএম সমর্থিত নির্দল পুরপ্রধান সুপ্রতিম সরকার বলেন, “ডিপো না-থাকলে শহরের পর্যটন ব্যবস্থারও ক্ষতি হয়ে যাবে।” বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “সরকার উত্তরবঙ্গের ওই পরিবহণ শিল্প তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলেই ডিপো ও স্টেশনের সংখ্যা কমানোর নির্দেশ জারি হয়েছে। আমরা আন্দোলনে নামব।” ইসলামপুর ডিপো রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সমর দাস বলেন, “সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না-হলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানো হবে। |
|
|
|
|
|