সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা। উদ্বোধন তখনও হয়নি। তাতে কী, মানুষ ভিড় করছে দেখে রেল দফতর থেকে, বন বিভাগ, পর্যটন বিভাগ-সহ বিভিন্ন স্টলে কর্মকর্তারা উৎসাহীদের স্বাগত জানালেন। উত্তরবঙ্গ উৎসবের অঙ্গ হিসাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মেলার মাঠে যে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল শুক্রবার শুরু থেকেই তা জমজমাট। মেলা প্রাঙ্গন লাগোয়া স্টেডিয়ামের মূলমঞ্চে তখন উৎসবের সূচনা করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ভিড় উপচে পড়ছে। মেলা কমিটির কর্মকর্তাদের অনেকেও সেখানে হাজির। তার মধ্যেও মেলায় ভিড় দেখে খুশি বিভিন্ন দফতরের স্টল এবং মেলার অন্যান্য দোকানগুলির কর্মকর্তারা। |
উত্তরবঙ্গ উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় মানুষের ভিড়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক গোপাল রায়, কিংবা বন দফতরের ডিএফও (নন টিম্বার ফরেস্ট প্রোডাক্ট) অরুণ মুখোপাধ্যায়দের স্টলে আসা উৎসাহীদের বিভিন্ন বিষয় বোঝাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা দিয়েছে শুরু থেকেই। তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প থেকে, কৃষি বিপণন দফতর কেন্দ্রের উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল, খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনের মতো সরকারের বিভিন্ন দফতরের অন্তত ২৮ টি স্টল মেলায় রয়েছে। রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির স্টলও। হস্তশিল্প সামগ্রী থেকে পোশাক, পর্যটন থেকে রেল বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর মিলছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের স্টলে দার্জিলিঙের বাতাসিয়া লুপে টয় ট্রেন চলার মডেল দেখতে কচিকাঁচাদের ভিড় ছিল। |
উৎসবের র্যালি শিলিগুড়িতে। লাটাগুড়িতে আজ যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। নাচের মহড়ায় খুদেরা।
মুখ্যমন্ত্রী
শিলিগুড়িতে পৌঁছতেই যানজট হিলকার্ট রোডে। ছবি তুলেছেন সন্দীপ পাল |
দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্টলের গেট ফিতে দিয়ে আটকে উদ্বোধনের অপেক্ষা করছিলেন দফতরের কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে তখন ব্যস্ত সকলে। উৎসাহীরা স্টলের বাইরে ভিড় করে রয়েছেন দেখে পৌনে সাতটার পর উদ্বোধন ছাড়াই গেট খুলে দেন উৎসাহীদের জন্য। মেলা কমিটির আহ্বায়ক মধুসূদন অধিকারী বলেন, “মেলায় মুখ্যমন্ত্রীর আসার একটা সম্ভাবনা ছিল। সেই জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল। তিনি মেলায় আলাদা ভাবে আসছেন না জেনে মেলা চালু করতে বলে দেওয়া হয়।” মেয়ে রেশমির হাত ধরে মেলায় ঘুরছিলেন হিলকার্ট রোডের বাসিন্দা অরুমিতা দে। |
র্যালি ও যানজটের । ছবি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক। |
মেলায় জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের স্টলে পোশাক কেনাকাটা করছিলেন। তার আগে ঘুরে এসেছেন বন বিভাগ-সহ বেশ কিছু দফতরের স্টলও। অরুমিতা দে বলেন, “মেলার স্টলগুলি খুবই ভাল হয়েছে। পাশাপাশি অনেক তথ্যও মিলছে। বন বিভাগ, রেল দফতর-সহ বেশকিছু স্টল খুবই ভাল লেগেছে। এ ধরনের আয়োজনের জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ।” বিদ্যুতের সংযোগ নিতে টাকা দিয়েও সমস্যায় পড়েছেন মহানন্দা পাড়ার বাসিন্দা সত্য গোপাল ঘোষ। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের উপভোক্তা বিষয় বিভাগের স্টলে গিয়ে তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে খুশি তিনিও। |