বর্তমানে প্রজন্মের কাছে লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে পৌঁছে দিতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় শুরু হয়েছে চার দিনের লোক উৎসব। সহযোগিতায় রয়েছে পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র। স্থানীয় গোবরডাঙা মিলন সঙ্ঘের পরিচালনায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া চারদিনের এই উৎসবের এ বার ষষ্ট বছর। উৎসবের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন অধ্যাপক স্বামী উমাত্মানন্দ এবং গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান সুভাষ দত্ত। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, লোক উৎসবের পতাকা ও সঙ্ঘের পতাকা উত্তোলন ও সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। এ দিন জলপাইগুড়ি জেলার শিল্পী সুলেখা রায় ভাওয়াইয়া পরিবেশন করেন। পরিবেশিত হয় ওড়িশার ‘গোতিপুয়া’ ও ‘শঙ্খনৃত্য’।
|
প্রথম দিনের মুখ্য আকর্ষণ ছিল ওপার বাংলার কুষ্ঠিয়ার ‘ফিকির’ গান। পরিবেশন করেন জামালউদ্দিন টুনটুন এবং রাজ্জাক। শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়ার গণেশ ভট্টাচার্য ও তাঁর সহশিল্পীরা কবিগান পরিবেশন করেন। অভিনীত হয় মিনার্ভা রেপার্টরি থিয়েটারের নাটক ‘দেবী সর্পমস্তা’। মনোজ মিত্রের নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার পরিবেশিত হবে মালদহের মানব পুতুল, ওড়িশার ‘গোতিপুয়া’ এবং জলপাইগুড়ির ‘বাগপা’। রয়েছে লোকসঙ্গীতের আসর। শেষ দিন মঞ্চস্থ হবে রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার নাটক ‘এ কোন আগমনী’। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন প্রহ্লাদ ব্রহ্মচারী, উৎপল ফকির প্রমুখ। উৎসবে লোকসঙ্গীতের পাশপাশি লোকনৃত্যের প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা হয়েছে। বাউল গানের সম্ভার নিয়ে হাজির থাকছেন বিখ্যাত পূর্ণচন্দ্র দাস, সাধন দাস, জাপানি শিল্পী মাকি কাজুমি। উৎসবে কৃষি মেলা ও প্রদর্শনীও রয়েছে। মেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব রায় বলেন, “লোকসংস্কৃতিকে নবীন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এবং আমাদের নিজস্ব যে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে তার চর্চার উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ।” |