সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে ‘প্রাগভাষ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম শিল্পী ছিলেন শ্রাবণী সেন। তিনি গাইলেন ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার’, ‘বধূ কোন আলো’ ইত্যাদি। খোলা গলায় গাওয়া ‘তুমি কি কেবলি ছবি’ অনবদ্য পরিবেশনা। তবে রবীন্দ্রসঙ্গীতে উচ্চকিত মিউজিক বিশেষ করে তালবাদ্যের তীক্ষ্ন আওয়াজ যথেষ্ট কর্ণপীড়াদায়ক। |
এর পরের শিল্পী নীলা মজুমদার। তাঁর প্রথম নিবেদন রবীন্দ্রনাথের একটি ব্রহ্মসঙ্গীত ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’। পরে আর একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘মনে রবে কি না রবে’। এর পর অতুলপ্রসাদের গান গাইবার আগে নীলা তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রবীন্দ্রনাথ ও অতুলপ্রসাদের মধ্যে স্নেহ ও শ্রদ্ধার সম্পর্কটি বিশ্লেষণ করে নিয়ে গাইলেন ‘ওগো নিঠুর দরদী’। পরের গান ‘জল বলে চল’। দ্বিজেন্দ্রলালের ‘তোমারেই ভালবেসেছি’ গানটিতে তাঁর আত্মনিবেদন যে অসাধারণ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যা সমস্ত শ্রোতার মন জয় করে নিতে দেরি হয়নি। সে দিনের শ্রেষ্ঠ নিবেদনও বলা যায়। শেষে মঞ্চে এলেন শ্রীকান্ত আচাযর্। শুরু করলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘এমনি করেই যায় যদি দিন’। গজল শোনালেন তিনি অনায়াস দক্ষতায়। বাংলা গানে ‘বধুঁয়া আমার চোখে’ শুনতে বেশ ভাল লাগল। |
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রযোজিত শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের কোলাজ ‘রবি কিরণে কবি শক্তি’। রবীন্দ্রগান ও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার অপূর্ব মেলবন্ধন। শক্তির লেখন শৈলীতে বার বার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে প্রতিফলিত হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। এই কোলাজে আবৃত্তি ও পাঠে ছিলেন আশিস ঘোষ ও নাতাশা দাশগুপ্ত। গানে এনাক্ষী চট্টোপাধ্যায় ও অভিরূপ গুহঠাকুরতা। অবশ্যই অনুষ্ঠানের মান বাড়িয়েছে কবি মন্দাক্রান্তা সেনের ভাষ্য রচনা। রোমাঞ্চিত হতে হয় যখন শোনা যায় শক্তির ‘অবনী বাড়ি আছ?’, ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব?’, ‘আনন্দভৈরবী’, ‘যখন বৃষ্টি নামল’ প্রভৃতি কবিতার সঙ্গে ‘কে উঠে ডাকি’, ‘কবে আমি বাহির হলেম’, ‘জানি তুমি ফিরে আসবে’, ‘এমনি করে ঘুরিব দূরে বাহিরে’, ‘এই তো তোমার প্রেম’ প্রভৃতি গানগুলি।
এই অনুষ্ঠানে সরাসরি পর্দায় ফুটে উঠেছে শক্তির নানা মুহূর্ত, তার সঙ্গে তাঁরই কণ্ঠে আবৃত্তি ও রবীন্দ্রসঙ্গীত। অন্য দিকে রবীন্দ্রনাথের নানা ভঙ্গিমার ছবি ও তার প্রাসঙ্গিক চিত্রকল্পও যেন এই অনুষ্ঠানের মান বাড়িয়েছে। |
সম্প্রতি শরৎ বাসভবনে প্রথমে শিশু ও কিশোররা তাদের স্বরচিত কবিতা ছড়া গল্পপাঠের মাধ্যমে শুরু করল সে দিনের অনুষ্ঠান। গান শোনালেন চন্দ্রা মহলানবীশ, শুভব্রত দত্ত, সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, রুমি ধর, রত্না ঘোষ, সঞ্জয় চৌধুরী প্রমুখ। নতুন ছড়া শোনালেন ভবানীপ্রসাদ, রূপক চট্টরাজ, রণজিৎ রায়, তাপস নাগ। কবিতা ছড়া দিয়ে এক মালায় গেঁথে সুন্দর সাবলীল সঞ্চালনা করলেন সমীর ঘোষ। আয়োজক শিশু সাহিত্য পরিষদ। |