|
|
|
|
|
|
|
মশলামুড়ি... |
|
|
হিন্দি ছবিতে ইন্দ্রাণী |
প্রায় দু’বছর পর আবার বড় পর্দায় তিনি। সঙ্গে জিনাত আমন, রাজেশ শর্মা। পরিচালক সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী
|
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার আবার বড় পর্দায়। এ বারে হিন্দি ছবিতে। ‘সাঁঝবাতির রূপকথা’, ‘যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল’-- ইন্দ্রাণী হালদার মানেই অন্য রকম অভিনয়, অন্য রকম সংবেদন। কিন্তু সেই ইন্দ্রাণী অতনু ঘোষ পরিচালিত ‘তখন ২৩’-এর পর প্রায় দু’বছর বড় পর্দায় কাজ করেননি। মুম্বইতে হিন্দি সিরিয়ালের অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী পরিচালিত ‘স্ট্রিংস অফ প্যাশন’ নামে এই ছবিটি নিয়ে সিরিয়ালের জগৎ থেকে ছবির দুনিয়াতে ফেরা ইন্দ্রাণীর উৎসাহের শেষ নেই। ছবিতে তাঁর সঙ্গে আছেন জিনাত আমন, শুভ মুখোপাধ্যায়, রাজেশ শর্মা। “চরিত্রটাও দুর্দান্ত। আমার বয়সের সঙ্গেও দিব্যি মানিয়েছে। |
|
|
ইন্দ্রাণীর সঙ্গে শুভ |
সেই চুম্বন দৃশ্য |
|
বিষয়টাও ইন্টারেস্টিং,’’ বলছেন ইন্দ্রাণী। সিরিয়ালের প্রচণ্ড কাজের চাপ সামলেই তাই সময় ভাগ করতে হচ্ছে ইন্দ্রাণীকে। “কলকাতায় চার দিনের শু্যটিংয়ের জন্য সাত দিন সাত রাত কাজ করতে হয়েছে মুম্বইতে। আবারও ফিরে যাব মুম্বই। পরের সিডিউলের জন্য সময় বের করতে তিন দিন দিন-রাত শু্যটিং করব ওখানে,” বলছেন নায়িকা।
ছবিতে নায়কের সঙ্গে ইন্দ্রাণীর একটি চুমুর দৃশ্যও আছে। “খুব শৈল্পিক ভাবে চুমুর দৃশ্যটা শু্যট করা হয়েছে। পর্দায় ভাল দেখাবে,” বললেন ইন্দ্রাণী। ইন্দ্রাণীর অভিনয়ে খুশি পরিচালক সঙ্ঘমিত্রাও। “হিন্দি সিরিয়ালে অভিনয়ের জন্য সারা দেশেই উনি পপুলার। ন্যাশনাল ফেস। হিন্দি ছবিতে ওঁকে নেওয়ার বড় সুবিধে এটাই। তা ছাড়া ওঁর অভিনয়ও খুব উঁচু দরের। এ ছবির নায়িকা বয়সে বড়। এবং একটি বয়সে ছোট ছেলেকে বিয়ে করে। দারুণ অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী,” বলছেন পরিচালক।
বাংলা ছবির রমরমার দিনে সঙ্ঘমিত্রার মতো টালিগঞ্জের এক জন বাঙালি পরিচালক যে ইন্দ্রাণী হালদার আর রাজেশ শর্মার মতো দু’জন জাতীয় স্তরে সুপরিচিত মুখ নিয়ে কাজ করছেন, ইন্ডাস্ট্রির তাতে ভাল হবে, এটা আশা করা যেতেই পারে। |
|
|
উ লা লা ঋতু |
কী সে আছেন তিনি আর কীসে যে নেই! অভিনয়। প্রযোজনা। এনডোর্সমেন্ট। নাচ। এ সব তো সামলাচ্ছিলেনই। এ বার তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও। ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টের ওপেনিং ডান্সটি তিনিই তো নাচলেন গত বৃহস্পতিবার! পারফর্ম করলেন বিপাশা বসু। আর মালাইকা অরোরাও। প্রিমিয়ার লিগের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে নাচার কথা স্যাফ আলি খান আর তাঁর বান্ধবী করিনা কপূরেরও। অর্থাৎ বলিউডের তাবড় স্টারদের সঙ্গে টালিগঞ্জ থেকে শুধুই ঋতুপর্ণা। “উদ্যোক্তারা বলেছিলেন আমার মতো জনপ্রিয়তা আর কোনও বাঙালি নায়িকার ও দেশে নেই। তাই আমি। শুনে দারুণ লাগল,” বলছিলেন ঋতুপর্ণা।
গ্ল্যামারের যোশ ছড়িয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঋতু নাচলেন, এ পার বাংলা আর ওপার বাংলার বাণিজ্যিক বাংলা ছবির একগুচ্ছ জনপ্রিয় গানের সঙ্গে। আর হিন্দি ‘আনজানা-আনজানি’র মনমাতানো গানে। তবে আসর মাতল ‘ডার্টি পিকচার’-এর সুপারহিট ‘উ লা লা উ লা লা’র সঙ্গে নেচেই। ঋ
তু বলছিলেন, “এই গানটা ইচ্ছে করেই বেছেছিলাম। জানতাম এটার সঙ্গে নাচলে সারা অডিটোরিয়াম আমার সঙ্গে না নেচে পারবে না।” আর সেটাই হয়েছে! কেয়া বাত ঋতু! |
|
মিশ্রণ: হুকাকাশি |
|
|
|
|
|