স্পট-ফিক্সিংয়ের ছায়া গেইল-ঝড়ে উধাও! বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই বাঁ-হাতি ক্যারিবিয়ান বরিশালের হয়ে ওপেন করে মারলেন ১০ ছক্কা, ৭ বাউন্ডারি। গেইলের ৪৪ বলে ১০১ নট আউটের (স্ট্রাইক রেট ২২৯.৫৪) ধুন্ধুমার সেঞ্চুরিতে বরিশাল বার্নার্স টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ৪১ বল বাকি থাকতে জিতে গেল। ১০ উইকেটে। সিলেট রয়্যালসের বিরুদ্ধে। সাড়াজাগানো শুরু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের। |
বরিশালি গেইল-এর দাপটে শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে চুরমার হয়ে গেল সোহেল তনবীর-স্কট স্টাইরিস-ব্র্যাড হগ-রুবেল হোসেন-সহ সিলেট বোলিং। সিলেট রয়্যালস টস হেরেও আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ২০ ওভারে মোটামুটি ভাল স্কোর ১৬৫-৪ করেছিল। কিন্তু আটের উপর আস্কিং রেট তাড়া করতে নেমেও মাত্র ১৩.১ ওভারে বরিশাল তুলে ফেলে ১৬৭-০। সাড়ে বারোর বেশি রান রেট রেখে। গেইলের সতীর্থ ওপেনার শাহজাদ আমেদ-ও ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন। তবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে মহানায়ক ক্রিস গেইল-ই। ২০০৮-এ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কেকেআরের ব্রেন্ডন ম্যাকালামের সেই সেঞ্চুরি নিয়ে যেমন এখনও আলোচনা হয়, তেমনই গেইলের আজকের ইনিংসও বাংলাদেশ ক্রিকেটে চির-আলোচনার বিষয় হয়ে থাকবে। এবং ক্রমেই টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে গেইল সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার দিকে এগোচ্ছেন। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫৭ বলে ১১৭। গত বছর আইপিএলে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি কেকেআরের বিরুদ্ধে ৫৫ বলে ১০২, কিংবা পরে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৪৯ বলে ১০৭। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ‘বিগ ব্যাশ’-এও সিডনি থান্ডার-এর হয়ে নেমেই ৫৪ বলে ১০০ নট আউট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের চুক্তির অঙ্ক মনঃপুত না হওয়ায় জাতীয় দলের হয়ে গেইল না খেললেও তাঁর দুর্ধর্ষ ব্যাটিং-ফর্ম কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণ হয়েই রয়েছে! |