ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে সমস্যার জেরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জলপাইগুড়ি শহরের জঞ্জাল অপসারণ বন্ধ হয়ে রয়েছে। আজ, শনিবার শহরে উত্তরবঙ্গ উৎসব শুরু হচ্ছে। তাই শহরের প্রধান এলাকাগুলি থেকে জরুরি ভিত্তিতে জঞ্জাল অপসারণের কাজ শুরু করছে পুরসভা। তবে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকে শহরের ব্যস্ততম দিনবাজার এলাকায় জঞ্জাল অপসারণের কাজ বন্ধ রয়েছে। শহরের কয়েকটি এলাকার বাড়ি বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহের কাজও বন্ধ রেখেছে পুরসভা। শহর লাগোয়া পাঙ্গার ফকিরপাড়ায় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঙ্গা এলাকায় পুরসভা ময়লা ফেলতে পারছে না। বিকল্প ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য মন্ডলঘাটে প্রায় তিন একর জমি জেলা প্রশাসন পুরসভাকে দেয়। সেখানেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া আটকে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকেই শহরের জঞ্জাল সংগ্রহের কাজ বন্ধ রয়েছে। জঞ্জাল অপসারণ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে বলে স্বাস্থ্যকর্মীরাই জানিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের পর দিন জমে থাকা জঞ্জাল জমে রয়েছে। পুঁতি গন্ধময় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে সমস্যার সমাধান না হলে শহরের জঞ্জাল অপসারণের কাজ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। আজ, শনিবার থেকে শহরে উত্তরবঙ্গ উৎসব শুরু হচ্ছে। শহরের সব রাস্তার পাশে জমে থাকা ময়লা বা ভ্যাটগুলি পরিষ্কার করা হচ্ছে। তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে সুরাহা না হলে ময়লা সংগ্রহ করলেও ফেলার জায়গা থাকছে না।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র সদর মহকুমা শাসক সাগর চক্রবর্তীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সমস্যা সমাধানে সমস্ত পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন সদর মহকুমা শাসক। জলপাইগুড়ি শহরে প্রতিদিন প্রায় ৬০ মেট্রিক টন করে আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। প্রতিদিন অন্তত তিন দফায় সংগ্রহ করা ময়লা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলতে হয়। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে গোটা শহরটাই ডাম্পিং গ্রাউন্ড হয়ে পড়বে।” |