বাটলা হাউস সংঘর্ষ মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নাম নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ।
গত কাল সাগরি বিধানসভা এলাকার কারমইনি গ্রামে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে খুরশিদ বলেন, “আমি তখন মন্ত্রী ছিলাম না। তবুও নিজের দায়িত্বে বাটলা সংঘর্ষের বিষয়টি সনিয়াজির সামনে তুলে ধরেছিলাম। ঘটনার ছবি দেখে ওঁর চোখে জল এসে গিয়েছিল।”
আজ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ অবশ্য জানিয়েছেন, সনিয়া গাঁধী বাটলা হাউসের ঘটনা নিয়ে কাঁদেননি। খুরশিদ বিষয়টি বাড়িয়ে বলেছেন। এ কথা জানার পর খুরশিদ জানান, তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন যে সনিয়াজি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। ঘটনাটির জন্য তদন্তেরও দাবি জানান খুরশিদ। ২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বাটলা হাউসে পুলিশ-জঙ্গি সংঘর্ষে দিল্লি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহনচন্দ্র শর্মা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। ওই সংগঠনেরই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতারও করা হয়। এক জঙ্গি পালিয়ে যায়। বিভিন্ন মহল থেকেই তখন ‘ভুয়ো’ সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহও এর আগে বার বার বলে আসছিলেন যে ঘটনাটি ‘ভুয়ো সংঘর্ষের’ এবং এর তদন্ত হওয়া দরকার। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরম কিছু দিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ঘটনাটির বিচারবিভাগীয় তদন্তের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তার পরেও খুরশিদ ফের তদন্ত চেয়েছেন।
সুযোগ বুঝে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস তথা ইউপিএ সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করেছে বিজেপি। দলের সহ-সভাপতি মুখতার আব্বাস নকভী বলেন, বাটলা হাউস বিতর্কে এবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মুখ খোলার সময় এসেছে। কারণ, তাঁরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরম জানিয়েছিলেন ঘটনাটির বিচারবিভাগীয় তদন্তের প্রশ্নই ওঠে না। অথচ সেটারই দাবি জানাচ্ছেন খুরশিদ। সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদবও প্রশ্ন তুলেছেন, কেন ভোটের সময় বাটলা হাউস বিতর্কে সনিয়ার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ার ঘটনাটিকে সামনে আনতে চাইছেন খুরশিদ। |