এক দিনেই শেষ রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার!
মঙ্গলবার নতুন সিলিন্ডার লাগানোর পরে বুধবার আর গ্যাস-আভেন জ্বলছে না।
অথচ সিলিন্ডারের ওজন কমেনি। আভেনেরই সমস্যা ভেবে স্থানীয় ডিলারকে খবর পাঠান গৃহকর্তা। কর্মী এসে পরীক্ষা করে দেখেন, আভেন ঠিকই রয়েছে।
তা হলে?
কৌতূহল থেকেই সিলিন্ডার উল্টে দেখা যায়, মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে কালো রঙের দুর্গন্ধযুক্ত জল!
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মলয় মজুমদার নামে দক্ষিণ কলকাতার হালতুর এক বাসিন্দার বাড়িতে। ডিলারের কাছ থেকে আসা কর্মীর পরামর্শ অনুসারে তিনি ফোন করেন ইনডেনের অভিযোগ সংক্রান্ত নম্বরে। রাতে ইনডেনের কর্মীরা গিয়ে দেখেন, সিলিন্ডার
থেকে নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত জল বেরোচ্ছে। |
কী করে এমনটা হল?
ইনডেনের এলপিজি বিভাগের চিফ ম্যানেজার অভিজিৎ দে জানান, দু’টি কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
• প্রতিটি সিলিন্ডার জল দিয়ে পরিষ্কার
করার সময়েই কোনও সিলিন্ডারে জল থেকে যেতে পারে।
• বটলিং প্লান্টে যে-পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস এনে সিলিন্ডারে ভরা হয়, সেই লাইনও পরিষ্কার করা হয় জল দিয়ে। সেই লাইন দিয়েও কোনও ভাবে জল ঢুকে থাকতে পারে সিলিন্ডারে। দীর্ঘদিন ধরে সেই জল ও গ্যাস একসঙ্গে থাকায় কালো ও দুর্গন্ধময় হয়ে যায়। অভিজিৎবাবুর কথায়, “প্লান্ট থেকে প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ গ্যাসভরা সিলিন্ডার বেরোয়। গত কয়েক বছরে আমরা এমন অভিযোগ পাইনি।”
বেআইনি ভাবে মাঝপথে কোথাও সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বার করে জল ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে না তো? অভিজিৎবাবু আশ্বস্ত করে জানান, মাঝপথে বেআইনি ভাবে গ্যাস বার করে নোংরা জল ঢুকিয়ে দিলে অনেক বেশি অভিযোগ আসত তাঁদের কাছে।
গ্যাস ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজনবিহারী বিশ্বাসের মতে, কয়েক লক্ষ সিলিন্ডারের মধ্যে হয়তো একটি ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে। মলয়বাবুর ক্ষেত্রে বিপত্তি ঘটে বুধবার। কিন্তু তাঁকে নতুন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। বুধবারেই মলয়বাবুকে নতুন সিলিন্ডার দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিজনবাবু। |