খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার জকপুরে ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তার আগে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রস্তাবিত সেন্টার-এলাকার পরিস্থিতি দেখতে শুক্রবার জকপুরে আসেন পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন। এলাকা ঘুরে দেখার পর তাঁর বক্তব্য, “এ জেলাতেও পর্যটন প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁদের লিখিত প্রস্তাব পাঠাতে বলেছি। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে।”
জকপুরে রয়েছে মনসা মন্দির। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার প্রচুর ভক্ত আসেন। খড়্গপুরের পাশ দিয়েই চলে গিয়েছে ৬ ও ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল। এখান থেকে মেদিনীপুর-খড়্গপুর, দুই শহরের দূরত্ব খুব বেশি নয়। এই সব দিক খতিয়ে দেখেই এখানে ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। পর্যটকদের থাকার জন্য এখানে অতিথিশালা তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। চালু হবে ট্যুরিস্ট বাস। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ। মন্দির কমিটির পক্ষে জয়রাম দোলই, মোহিত রাউল, শ্যামল বেরা-রা বলেন, “আমাদের একার পক্ষে এই এলাকা সাজিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাই। পর্যটনমন্ত্রী এলাকা পরিদর্শনে আসায় আমরা খুশি। এখানে ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার গড়ে তোলা হলে আমরা সব রকম ভাবে সহযোগিতা করব।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যান্য এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে ঘিরে একটি ট্যুরিজম সার্কিট গড়ে তোলার পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। ওয়েস্টবেঙ্গল কনসালটেন্সি অর্গানাইজেশন (ওয়েবকন) ইতিমধ্যেই একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছে। জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাবিত প্রকল্পের খসড়া জমা পড়েছে। তবে, এই পরিকল্পনা কবে রূপায়িত হয়, এখন সেটাই দেখার। অপেক্ষায় দিন গুনছেন জকপুরের মানুষ। |