|
|
|
|
পুরসভার কাজকর্মে বেনিয়মের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাট পুরসভার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুললো শহর বামফ্রন্ট কমিটি। নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ দিন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করার জন্য লিখিত দাবি জানিয়েছে। রামপুরহাটের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “বামফ্রন্ট নেতৃত্বের অভিযোগগুলি জেলাশাসকের কাছে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন।”
বামফ্রন্ট নেতৃত্বের তরফে সিপিএমের কানাই দাস, আরএসপি-র কমল বিদ্যার্থী ও সিপিআই-এর সিরাজউদ্দিনদের অভিযোগ, গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণের বরাদ্দ অর্থ ভেঙে পুরসভার ৫৮ জন অস্থায়ী কর্মীকে চার মাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। গরীব মানুষদের জন্য বরাদ্দ টাকা অন্য খাতে ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করে গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণের কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বামফ্রন্টের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পুরপ্রধান তৃণমূলের নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই প্রকল্প বামফ্রন্ট আমলে শুরু হলেও তাঁরা তা সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি। আমরা মার্চ মাসের মধ্যেই নির্ধারিত ৬০৩টি গৃহ নির্মাণের কাজ শেষ করব।” গৃহ নির্মাণের টাকা অন্য কাজে ব্যবহারের অভিযোগকে তিনি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে গুরুত্বহীন করে দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে নির্মলবাবু বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে মিড ডে মিল রান্না করার কাজের সঙ্গে অন্যান্য আরও কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে। তা ছাড়া ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু কাজে তাঁদেরকে যুক্ত করার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।” বামফ্রন্ট নেতৃত্ব রামপুরহাট পুরসভার বিরুদ্ধে আরও একটি মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, পুরসভার প্রত্যক্ষ মদতে এলাকায় বেআইনি ভাবে জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নির্মলবাবুর দাবি, “ওরা যে এলাকা পুকুর বলে দাবি করছে, রেকর্ডে তা পুকুর বলে উল্লেখ নেই।” পুরপ্রধান উল্টে আগের বামফ্রন্ট পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে বিদ্যুতের বিল বকেয়া রাখার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “পুরসভার ৬৭ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছিল ওরা।” এ দিকে বামফ্রন্ট কমিটি পুরসভা এলাকায় করের হার দ্বিগুন করার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছে। |
|
|
|
|
|