সুপারের নামে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ |
কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্য-কর্মীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
সুপার ও কর্মীদের মধ্যে বিরোধের জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগে। শুক্রবার হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কর্মীদের বাদানুবাদও হয়েছে। সুপারের বিরুদ্ধে ‘দুর্ব্যবহার এবং অসহোযোগিতার’ অভিযোগ তুলে কর্মবিরতি পালন করেছেন হাসপাতালের প্রশাসনিক দফতরের কর্মীরা। সুপার দুঃখপ্রকাশ না করলে কর্মবিরতি লাগাতার চালিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন কর্মীরা। সুপারের বিরুদ্ধে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছে ডান-বাম সব কর্মী সংগঠনের সদস্যরাই। কর্মীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন হাসপাতাল সুপার ব্রজেশ্বর মজুমদার। সুপার ব্রজেশ্বরবাবু বলেন, “হাসপাতালের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকলকে দশটার সময়ে অফিস আসতে হয়। এক কর্মীকে কাজ করতে বলায় তিনি আমাকে গালিগালাজ করেছিলেন। তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। এক কর্মী দফতরেই ঘুমোচ্ছিলেন। তাকেও শোকজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সব কড়া পদক্ষেপ নেওয়াতেই কর্মীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। অধিকাংশ কর্মীই ভালও কাজ করেন। তবে কয়েকজন সকলকে উসকে দিয়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।” এদিন সকালে কর্মবিরতি শুরু করার পরে কর্মীরা সুপার ব্রজেশ্বরবাবুর ঘরে ক্ষোভ জানাতে গিয়েছিলেন। দু’পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। দু’পক্ষই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করতে থাকায় কোনও আলোচনাই সম্ভব হয়নি। এর পরে কর্মীরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। কর্মীদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সুপার দুঃখপ্রকাশ করে সকলকে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ না করলে তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “দ্রুত সমস্যার সমাধান করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার সুপার এক কর্মীকে অফিসেই ঘুমোতে দেখেন। সংশ্লিষ্ট কর্মীকে শোকজ করার কথা বলেন। এতেই কর্মীদের একাংশ ক্ষেপে ওঠেন বলে অভিযোগ। কর্মীদের দাবি, রক্তচাপের রোগে অসুস্থ এক কর্মী ওষুধ খাওয়ার পরে বিশ্রাম করছিলেন। সে সময় সুপার এসে তাঁকে শোকজ করার হুমকি দিয়েছেন। এক মহিলা কর্মীর নামে মামলা করে সুপার তাঁকে গ্রেফতার করানোর হুমকিও দিয়েছিলেন। কর্মীদের অভিযোগ, “এর আগেও তিন জনকে ‘অযৌক্তিক’ ভাবে শোকজ করা হয়েছিল।” কর্মীদের পক্ষে উৎপল সরকার বলেন, “কর্মীদের সঙ্গে সুপার সব সময়েই অভব্য আচরণ করেন। কারও সঙ্গে সহযোগিতা করেন না। কোনও যুক্তি শুনতে চান না। মহিলা কর্মীদের আপত্তিকর ভাষায় নানা রকমের হুমকি দেন। ওঁর সুস্থতা নিয়েই আমাদের সন্দেহ রয়েছে।” |