পুলিশ জেলার মতোই ‘ঝাড়গ্রাম স্বাস্থ্যজেলা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগেই পৃথক পুলিশ জেলা হয়ে গিয়েছে। এ বার পৃথক স্বাস্থ্য জেলা হতে চলেছে ঝাড়গ্রামে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন বছরেই ঝাড়গ্রামকে পৃথক স্বাস্থ্য জেলা হিসাবে ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু স্বাস্থ্য জেলা করতে হলে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রয়োজন। শুধু পদ থাকলেই হবে না। তার জন্য প্রয়োজন দফতরও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে থেকেই ঝাড়গ্রামে এক জন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রয়েছেন। তাঁর জন্য একটি অফিসও রয়েছে। ওই অফিসের অবস্থা খারাপ হওয়ায় নতুন একটি ভবন তৈরি করা হয়েছিল। নতুন সেই ভবনেই ঝাড়গ্রাম জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর খোলার পরিকল্পনা নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানেই ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরও বসার কথা। আর পুরনো দফতরই সংস্কার করে বসবেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
আগের বামফ্রন্ট সরকার ঝাড়গ্রামকে আলাদা পুলিশ জেলায় ভাগ করেছিল। তারপর থেকেই ঝাড়গ্রামে পৃথক পুলিশ সুপার রয়েছেন। ঝাড়গ্রামের ৯টি থানার মধ্যে লালগড় বাদে বাকি ৮টি থানা ওই পুলিশ জেলার অন্তর্ভুক্ত। নতুন স্বাস্থ্য জেলার আওতায় থাকবে গোটা ঝাড়গ্রাম মহকুমা। জানুয়ারি মাসের শুরুতেই এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিয়োগ না করা গেলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের অভিজ্ঞ কোনও আধিকারিককে দিয়ে ওই কাজ চালানো হবে। ধীরে ধীরে স্বাস্থ্য জেলা গড়ে তোলার সমস্ত পরিকাঠামোই তৈরি করা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে পরিকাঠামো সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বলেছে রাজ্য সরকার। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “নতুন স্বাস্থ্য জেলা করার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। কী কী রয়েছে, আর কী নতুন প্রয়োজন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠাব।”এ দিকে, আগেই ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো কাজও চলছে। পৃথক স্বাস্থ্য জেলা গঠনের প্রেক্ষিতে আরও অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। জেলা হাসপাতালের উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
ঝাড়গ্রামকে আলাদা জেলা করারও প্রস্তাব রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই ঝাড়গ্রামকে আলাদা জেলা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার মানচিত্র কেমন হবে, সেখানে কোন ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি থাকবে, নদী-জঙ্গলের অবস্থান, জনসংখ্যা, সেচসেবিত জমির পরিমাণ ইত্যাদি নিয়ে রাজ্য সরকার রিপোর্ট চেয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ অবশ্য আসেনি। |