ফের ‘মদ্যপ’ অবস্থায় রোগী দেখায় অভিযুক্ত চিকিৎসক
বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পুনরাবৃত্তি হল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। শুক্রবার দুপুরে ‘মদ্যপ’ অবস্থায় হাসপাতালে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ইএনটি সার্জেন কানাইলাল দাসের বিরুদ্ধে। মাথায় ক্ষত নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসা এক বৃদ্ধের পরিবারের লোকজন ওই চিকিৎসক ‘মদ্যপ’ বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় হাসপাতালে হুলুস্থুল পড়ে যায়।
ওই চিকিৎসক দাবি করেন, “মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে আসিনি। রাতে মদ্য পান করেছিলাম। সকালে স্নান সেরে
অভিযুক্ত ইএনটি সার্জেন
কানাইলাল দাস।
—নিজস্ব চিত্র।
এক ঘণ্টা প্রাণায়ম করে হেঁটে হাসপাতালে এসেছি।” পরে বুকে ব্যাথা হচ্ছে বলে তাঁকে হাসপাতালের আইসিসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন, “বৃদ্ধ রোগীর পরিবার ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় চিকিৎসা করার অভিযোগ করেছেন। তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে পরীক্ষা করছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বোলপুরের ত্রিশূলাপল্লীর বাসিন্দা রামকৃষ্ণ রায়চৌধুরী পড়ে গিয়ে জখম হন। তাঁর মাথায় গভীর ক্ষত হয়, নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। ওই বৃদ্ধকে নিয়ে তাঁর মেয়ে পাপালি সাধু বোলপুর হাসপাতালে যান। দুপুর ১২টা নাগাদ জরুরি বিভাগে এক চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করেন। নাক দিয়ে রক্তপাত হওয়ায় বৃদ্ধকে ইএনটি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পাপালির অভিযোগ, “ইএনটি বিভাগের ওই চিকিৎসক বাবাকে না দেখেই বর্ধমান মেডিক্যালে স্থানান্তর করে দেন। তাঁর কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল। ঢুলুঢুলু অবস্থা। বুঝি তিনি মদ্যপ। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনি চিকিৎসা করেছিলেন কী ভাবে? আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই চিকিৎসককে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” অভিযুক্ত চিকিৎসক দাবি করেন, “ওই বৃদ্ধকে অচেতন অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। অবস্থা সঙ্কটজনক থাকায় বর্ধমানে স্থানান্তর করি। আমার কথা এমনিতেই জড়িয়ে যায়। মদ খেয়ে হাসপাতালে আসিনি।” হাসপাতাল সুপার বলেন, “তাঁর মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।” বীরভূম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মল্লিক বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্যামাপদ বসাক বলেন, “ওই চিকিৎসকের মেডিক্যাল পরীক্ষা করে কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। সোমবার রিপোর্ট নিয়ে বীরভূমের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে দেখা করতে বলেছি।” ৭ নভেম্বর বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক চিকিৎসক মদ্যপ অবস্থায় রোগী দেখায় ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। সে দিনই তাঁকে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়েছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.