| রাজ্য সরকারের নানা কাজের সমালোচনা করতে রাস্তায় নামল সিপিএম। শুক্রবার বিকালে এয়ারভিউ মোড়ে দলের তরফে একটি অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়েছে। ‘আক্রান্ত গণতন্ত্র-আক্রান্ত শিক্ষা’ এই স্লোগান তুলে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনায় সরব হন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন জীবেশ সরকার, নিখিল গুহ প্রমুখ। শিক্ষা-কৃষি-উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। সেই সঙ্গে বিষ মদ কাণ্ডে কার্যকরী ভূমিকা না নিয়ে রাজনীতিতে সরকার বিষ ঢেলেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অশোকবাবু অভিযোগ, “রাজ্যের অস্থির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সর্বত্র গণতন্ত্র হত্যা হচ্ছে। কোনও উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই প্রথম সারির তৃণমূল নেতারা রাজনীতি করতেই বেশি ব্যস্ত। বিষ মদ কাণ্ড নিয়ে সরকার কার্যকারী ভূমিকা নিতে পারেনি। উল্টে রাজ্য রাজনীতিতে বিষ ঢেলেছেন। প্রথম সারির তৃণমূল নেতারা যে ধরনের কথা বলছেন তা ভাবাই যায় না।” নতুন সরকারের আমলে কৃষি এবং শিক্ষাক্ষেত্র বেশি আক্রান্ত বলে প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর অভিযোগ। তাঁর কথায়, “কৃষি ধ্বংস হচ্ছে। চাষিরা আত্মহত্যা করছেন। আগে অন্ধ্রপ্রদেশ, বির্ধবে আত্মহত্যার ঘটনা শুনতাম। সম্প্রতি ধূপগুড়িতে আলু চাষি আত্মহত্যা করেছেন। বাম আমলে তো এমন ঘটনা ঘটেনি।” তাঁর অভিযোগ, “শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বত্র নৈরাজ্য চলছে। সাত মাস সরকারে এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির হাল সরকার কী করেছে তা আর বলার নয়। শিক্ষক-শিক্ষিকারা আক্রান্ত হচ্ছেন। শিলিগুড়ির একটি স্কুলেও এমন ঘটনা ঘটেছে।” পুরমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “মুখ্যমন্ত্রী অসংবিধানিক কথাবার্তা বলছেন। অসংযত আচরণ ও হুমকিও দিচ্ছেন। রেলমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া অবধি উনি নানা প্রকল্পের কথা শুধু ঘোষণাই করে গিয়েছেন। বাস্তবে কোনও কাজই দেখা যাচ্ছে না। এখন যা মনে হচ্ছে তাতে আন্দোলন বা কিছু করতে হবে না। উনি নিজেই নিজের মুখোশ খোলা শুরু করে দিয়েছেন।” অবস্থান থেকে শিলিগুড়ি পুরসভার কড়া সমালোচনা করেন দলের জেলা কমিটির সদস্য তথা ডিওয়াইএফআই-র জেলা সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রায় আড়াই বছর শিলিগুড়ি পুরসভায় ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। প্রথমে চেয়ার, পদ নিয়ে টানাটানি হয়েছে মাত্র। কোনও উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। মেয়র যা বলছেন ডেপুটি মেয়র তার উল্টো কথা বলছেন। মেয়র পারিষদেরা আবার অন্য কথা বলছেন। ওঁরা কাজ করতে না টাকা কামাতে ক্ষমতায় এসেছে তা বোঝা যাচ্ছে না।” দুপুর২টা থেকে বিকাল ৫টা অবধি অবস্থান বিক্ষোভ চলে। |
