জোট করে সিপিএমকে হটানোর পর পরিচালন সমিতির সম্পাদক পদে ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে দিল কংগ্রেস। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ি বিদ্যাসাগর হাই স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। মাস দেড়েক আগে স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোট হয়। কংগ্রেস-তৃণমূল জোট করে এক দশক স্কুলের পরিচালন সমিতির ক্ষমতায় থাকা সিপিএমকে হারায়। ৬-০ ভোটে জোট স্কুলের পরিচালন সমিতির দখল নেয়। সম্পাদক পদ নিয়ে দুই জোট শরিকের মধ্যে টানাপোড়েনের পর এদিন নির্বাচন হয়। কংগ্রেস প্রার্থী ১১-১ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছেন। স্কুল সূত্রের খবর, পরিচালন সমিতির পদে কংগ্রেসের প্রাথী ছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ (বিদ্যুৎ) কাজল চন্দ। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয় এলাকারই প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা পালকে। তবে সম্পাদক পদ নিয়ে দলের মধ্যে চাপা উত্তেজনা থাকলেও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শিলিগুড়ি টাউন কংগ্রেস নেতা কমল তরফদার বলেন, “বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে ভোটাভুটি হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী হেরেছেন ঠিকই। তবে আমরা একজোট হয়েই স্কুলের কাজকর্ম, উন্নয়ন করব।” কার্যত একই সুরে কথা বলেছেন পরাজিত প্রার্থী তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর রীতাদেবী। তিনি বলেন, “সিপিএমকে আমরা একসঙ্গে মিলিয়ে হারিয়েছি এটাই বড় বিষয়। নিজেদের মধ্যে লড়াই হয়েছে। একজন জিতেছেন। একজন হেরেছেন। পুরোটাই বন্ধুত্বপূর্ণ।” শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড লাগোয়া এই হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি একসময় দীর্ঘদিন কংগ্রেসের দখলে ছিল। পরবর্তীতে সিপিএম নেতা পরিমল মিত্র ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার পর স্কুলের দখল নেয় সিপিএম। পরিমলবাবু টানা এই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক ছিলেন। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। পরিচালন সমিতির নির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট করে। এলাকার সিপিএম কাউন্সিলরও ময়দানে নামেন। কিন্তু ৬-০ ভোটে হারে সিপিএম। ৩টি কংগ্রেস এবং ৩টি তৃণমল আসন পায়। এদিন পরিচালন সমিতির সম্পাদক নির্বাচনে নির্ধারিত ১২ জন ভোট দেন। ৬ জন অভিভাবক প্রতিনিধি, ৪ জন শিক্ষক প্রতিনিধি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক। |