বিএলএলআরও দফতর জানিয়েছে, সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়কে ঘিরে দফতরে হাঙ্গামার ঘটনা ঘটে। সকলেই দ্রুত কাজ চান। এ নিয়ে এক আলোচনায় ঠিক হয়, যে সব আবেদনপত্রে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এই তিন জনের সই থাকবে, সেই সব আবেদনপত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কোনও এক জনের সই না থাকলে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গৃহীত হবে না। ওই দফতরের কর্মীদের দাবি, এ দিন হুমায়ুন রেজা চৌধুরী যে আবেদনপত্রটি এনেছিলেন, তাতে তাঁর নিজের সই থাকলেও বাকি দু’জনের সই ছিল না। সেই কারণে আবেদনপত্রটি নেওয়া হয়নি।
বিএলএলআরও অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, “হুমায়ুন রেজা চৌধুরীকে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে বলামাত্র তিনি রেগে ওঠেন, হুমকি দেন। আমাকে হেনস্থা করেন। তার পরে টেবিল উল্টে ফেলে কাচ ভাঙেন। চেয়ার ছুড়ে জানলার কাচও ভেঙে দেন। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করেন।” অরবিন্দবাবু ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর সঙ্গীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। এ দিন রাত ৯টা পর্যন্ত ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ। তৃণমূলের আর এক নেতা তথা দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ইসমাইল মল্লিক বলেন, “সরকারি আধিকারিককে হেনস্থা এবং দফতরে ভাঙচুরের ঘটনার কথা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার শাস্তি হোক। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।” দেগঙ্গা থানার পুুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। |