|
|
|
|
বাড়ি থেকে পালিয়ে ধরা পড়ল ছয় ছাত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল ৬ কিশোর। তবে নদিয়ার রানাঘাট রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে সকলেই।
মুর্শিদাবাদের নওদার আমতলা হাইস্কুল (বয়েজ)-এর অই ছয় পড়ুয়া বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা যাবে বলে বেলডাঙা স্টেশন থেকে শিয়ালদহগামী লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চড়ে বসে। ট্রেনে তাদের আচরণ সন্দেহজনক ঠেকে যাত্রীদেরই। তাঁরাই তারপরে ওই ছ’জনকে রানাঘাট রেল পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে ওই রাতে দত্তফুলিয়া চাইল্ড লাইনে পাঠানো হয় ওই ছ’জনকে। শুক্রবার সকালে বাড়ির লোকজন গিয়ে দত্তফুলিয়া থেকে ওই ছাত্রদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
ওই ছ’জনের মধ্যে তিন জন ষষ্ঠ শ্রেণির, তিন জন নবম শ্রেণির ছাত্র। আমতলা হাইস্কুল (বয়েজ)-এর প্রধান শিক্ষক কালীপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, “বৃহস্পতিবার স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ওই ছয় ছাত্র প্রতিটি বিষয়েই ‘ডি’ পেয়েছে বলে তাদের পাশ করানো যায়নি।” তাঁর কথায়, “কিন্তু ওই ছ’জন যে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরেনি, তা কিন্তু অভিভাবকরা আমাদের জানাননি। এমনকী এদিনও তাদের বাড়ির কেউ স্কুলে এসে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।” দত্তফুলিয়ার চাউল্ড লাইনের কাউন্সিলর গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, “ওই ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি যে, তারা স্কুলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনেক আগেই বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই মতো এক ছাত্র তার সাইকেলটিও ৭০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়। এমনও হতে পারে পরীক্ষার ফল ভাল হবে না বুঝতে পেরে বাড়ির লোকজনের বকাঝকার হাত থেকে রেহাই পেতেই তারা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।” রানাঘাটের বাসিন্দা অমর মুহুরি বলেন, “ট্রেনের মধ্যে পাশাপাশি বসে তারা খুব নীচু স্বরে কথা বলছিল। সেই আচরণ এবং পরণে স্কুলের ইউনিফর্ম দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, পরীক্ষার ফল ভাল না হওয়ায় তারা কলকাতায় কাজের সন্ধানে যাচ্ছে। এর পরেই অন্য যাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের রানাঘাট রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।” তাঁর কথায়, “ওই ছেলেগুলো গ্রামের। কলকাতায় গিয়ে কার খপ্পরে পড়বে বলা যায় না।” এক ছাত্রের মা নফুরা বিবি বলেন, “ওরা এক সঙ্গে খেলা করে। অধিকাংশই আমাদের আত্মীয়। ওই দিন বাড়ি ফিরতে দেরি করছে দেখে ভেবেছি কোনও আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছে। কিন্তু রাত পর্যন্ত না ফেরায় খোঁজ-খবর শুরু হয়। তখনই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ জানতে পারি সকলে এক সঙ্গে নদিয়াতে রয়েছে।” |
|
|
|
|
|