|
|
|
|
শুরুর দিন থেকেই ভিড় বইমেলায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
দুপুর গড়াতেই বইমেলার এক কোণে আস্তে আস্তে ভিড় জমাতে শুরু করে এক ঝাঁক ছাত্র-ছাত্রী। সেখানেই লিটল ম্যাগাজিনের এলাকা। লিটল ম্যাগাজিনের টেবিলগুলি সযত্নে সাজিয়ে তোলাই যেন এক সাহিত্যের উৎসব উদ্যাপন। নানা রঙে হাতে লেখা পোস্টারগুলি ঘিরে যাঁরা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের এক বুক ভরা থাকে স্বপ্নে। ‘প্রান্তদর্শী’ থেকে ‘রোদ্দুর’, ‘বাক্স’ থেকে ‘ফিনিক্স’, ‘মৈত্রী’ থেকে ‘জলঙ্গি’, দীর্ঘদিনের ‘জীবনকুচি’ থেকে এ বারেই প্রথম প্রকাশিত ‘ইউটোপিয়া’র ভিড়ে কেউ গল্পলেখক, কেউ শিল্পী, কেউ কবি, কেউ সম্পাদক। |
|
প্রদর্শনীর প্রস্তুতি। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য। |
লেখার বিষয় ভাবনা থেকে শুরু করে তা ছাপিয়ে বইমেলার টেবিলে নিয়ে আসা পর্যন্ত যে স্বপ্নের দৌড়ে তাঁরা মিলে যান, তা-ই বইমেলাকে যেন প্রাণ এনে দেয়। একটি লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক শেষাদ্রী রায় বলেন, “অনেকে যেমন জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন, আমরা তেমন অপেক্ষা করে থাকি বইমেলার জন্য। শুধু নিজেদের লেখা প্রকাশ করাই নয়, আমরা চাই নিজেদের মতো করে সমাজে আমাদের মতামত তৈরি করতে।” বইপ্রেমীদের কাছে এই মেলা অবশ্য শুধুই লিটল ম্যাগাজিন নয়। কলকাতার ছোট বড় নানা প্রকাশক মিলিয়ে ৮২টি স্টল রয়েছে। যে বইয়ের জন্য ছুটতে হয় কলকাতায়, তা এই ক’টা দিন পাওয়া যাচ্ছে হাতের কাছেই। বইয়ের সম্ভারের পাশাপাশি মেলায় বুক ফুলিয়ে জায়গা করে নিয়েছে ছবির প্রদর্শনী। সেখানে ঠাঁই পেয়েছে নদিয়ার নানা বিষয়ের ফটোগ্রাফি। সেই সঙ্গে জায়গা পেয়েছে নানা বিষয়ের উপরে জল ও তেল রঙের আঁকা ছবিও। বইমেলায় ঢুকতেই এই সুদৃশ্য প্রদর্শনীটি শিল্পের সঙ্গে সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে মেলায়। প্রদর্শনী কমিটির আহ্বায়ক দীপক বিশ্বাস বলেন, “এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা চাইছি নতুন প্রতিভা তুলে ধরতে। চেয়েছি মেলাকে আরও সুন্দর করে তুলতে।” শুরুর দিন থেকেই জমে গিয়েছে বইমেলা। শীতের দুপুর-বিকেলে বেশ ভিড় হয়েছে। সামনের সপ্তাহান্তে ভিড় আরও বাড়বে বলে উদ্যোক্তাদের আশা। আর হ্যাঁ, বইমেলার সব কর্তাই কিন্তু টিকিট কেটেই মেলায় ঢুকছেন। |
|
|
|
|
|