|
|
|
|
সংস্কার হয়নি রাস্তা, ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
রাস্তা সংস্কারের জন্য মাস দুয়েক আগে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। ফলে পটাশপুর-২ ব্লকের আড়গোয়াল থেকে কোটমৈশালি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তায় এখনও বন্ধ যান চলাচল। রাস্তাটি অবশ্য গত চার বছর ধরেই বেহাল।
পিচ উঠে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এমনই হাল হয়েছে যে সেখান দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়াই দুষ্কর। অথচ ওই রাস্তা দিয়ে বছর কয়েক আগেও আড়গোয়াল থেকে কাঁথি পর্যন্ত অন্তত ২৫টি ট্রেকার এবং মেচেদা, কাঁথি ও দিঘা রুটে ৭টি মিনিবাস চলত। এ ছাড়া এলাকার কৃষিজপণ্য নিয়ে চলত একাধিক লরি, ছোট গাড়ি। বেহাল হওয়ায় আড়গোয়াল থেকে কালিরবাজার পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তায় গত দেড় বছর ধরে চলে না কোনও বাস। ট্রেকার চলে কোটমৈশালি থেকে। সব মিলিয়ে এলাকার ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দীর্ঘ দিন ধরে যান চলাচল এক রকম বন্ধ। পটাশপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অপরেশ সাঁতরা জানান, জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য মাস দুয়েক আগে দরপত্র দেওয়া হয়েছে। নভেম্বরের প্রথম দিকে ‘ওয়ার্ক-অর্ডার’ হয়েছে। কাজ শুরু হয়নি। এর ফলে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। |
|
আড়গোয়াল-কোটমৈশালির বেহাল রাস্তা। ছবি: কৌশিক মিশ্র |
প্রশাসন ও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ২০০৭-এ রাস্তার কাজ হয়েছিল। কিন্তু বছর না ঘুরতেই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। সে সময় ওই সংস্কারের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০০৮-এর বন্যার পর রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পরে ইট ফেলে রাস্তাটির সামান্য মেরামত হয়। তার পর আর সংস্কার হয়নি। পাঁউশি খালপাড় সংলগ্ন ওই রাস্তা আড়গোয়াল ও সাউৎখণ্ডের বাসিন্দারা ব্যবহার করতেন। এখন গ্রামের মোরাম রাস্তা দিয়ে ঘুরপথে রিকশা, সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাঁদের।
অপরেশবাবু জানান, ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আড়গোয়াল ও কালীরবাজারে টোল গেট বসানো হয়েছিল। বেহাল রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সেই টোলগেটও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনের বক্তব্য, “বিআরজিএফ থেকে ওই রাস্তার ৬ কিলোমিটার অংশের সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।” কিন্তু অপরেশবাবুর অভিযোগ, “আড়গোয়াল থেকে ব্রজবল্লভপুর সোসাইটি পর্যন্ত ও কোটমৈশালি থেকে আড়গোয়াল পঞ্চায়েত অফিস পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য ওই অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। অথচ এর মাঝের এক কিলোমিটার অংশ, যেটি সব থেকে বেশি খারাপ, তার সংস্কারের জন্য ওই প্রকল্পে কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি।”
মামুদ হোসেন বলেন, “ওই এক কিলোমিটার রাস্তার জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হবে। রাস্তার কাজ দ্রুত শুরুর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার ও বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়রকে নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।” দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার লীলা মাইতি বলেন, “রাস্তার কাজের বেনিফিশিয়ারি কমিটি গঠনে দেরি হওয়ায় কাজে দেরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই কাজ শুরু হবে বলে আশা।” |
|
|
|
|
|