|
|
|
|
মুঙ্গেরে অবৈধ অস্ত্র কারখানার রমরমা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিহারে মুঙ্গের জেলা বহু দিন ধরেই বেআইনি অস্ত্র তৈরির জন্য কুখ্যাত। মাঝেমধ্যেই ধরপাকড় হয়। পুলিশের দাবি, গলিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয় আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। কিন্তু বেআইনি অস্ত্রের কারবার যে রমরমিয়ে চলছে তার প্রমাণ গত তিন-চারদিনে এই জেলায় দু’টি থানা এলাকায় ৬টি বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছে পুলিশ। এর আগে গত ছয় মাসে এমন আরও ৫০টি কারখানার সন্ধান মিলেছে মাত্র চারটি থানা এলাকায়। এ সব অস্ত্র পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে যে পাচার হয় তা স্বীকারও করেন বিহার পুলিশের কর্তারা।
বিহারের ডিজিপি অভয়ানন্দ বলেন, “বেআইনি অস্ত্র কারখানা সংক্রান্ত প্রতিটি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটাতে বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭০০টি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে।” জেলা পুলিশ জানাচ্ছে, মুঙ্গের জেলার চারটি থানা, মুঙ্গের টাউন, কাশিমবাজার, মফস্সল এবং বারিয়ারপুর থানা এলাকায় কত বেআইনি অস্ত্র কারখানা আছে। পুলিশের কাছে তার সঠিক কোনও হিসেব নেই। এই জেলায় চারটি থানা এলাকাতেই ছড়িয়ে আছে বেআইনি অস্ত্র কারখানা। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি যে এ জেলায় একটা বড় পেশা তা মানছেন জেলার পুলিশ সুপার পি কান্নন। এসপি বলেন, “এই সব কারখানায় দেশি বন্দুক, পিস্তল, ম্যাগাজিনের মতো জিনিস তৈরি হয়। এ কাজে জড়িত সকলেই স্থানীয় লোকজন। অনেক স্থানে এই অস্ত্র বানানোই মানুষজনের মূল পেশা। এই অস্ত্র বিহার ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পাচার করা হয়।”
কী ভাবে এই অস্ত্র পাচার হচ্ছে? পুলিশ সুপার বলেন, “এখান থেকে বাসে বা গাড়িতে করে এই সব অস্ত্র পাচার করা হয়। বেআইনি অস্ত্রের কারবারিদের সঙ্গে ওই সব ক্রেতাদের সঙ্গে পুরনো যোগাযোগ আছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে আমরা ধরপাকড় চালাচ্ছি। বিভিন্ন রাস্তায় নজরদারিও অনেক বাড়ানো হয়েছে। আর তাতেই এত বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছে। বেশির ভাগই ধরা পড়েছে অস্ত্র পাচার করার সময়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সব কারখানার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।”
মুঙ্গেরে বানানো অস্ত্র যে ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গেও ঢুকছে সে বিষয়ে সম্যক অবহিত এই রাজ্যের পুলিশ কর্তারাও। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষ থেকে বিহার পুলিশের সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে বিহার রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এত বেআইনি অস্ত্র ধরা পড়ার পরে সেগুলি কী করা হয়? পি কান্নন বলেন, “আদালতের নির্দেশে সেগুলি নষ্ট করে ফেলা হয়। ওই সব অস্ত্র গলিয়ে কৃষির যন্ত্রপাতিও বানানো হয়।” মুজফফ্পুর, দ্বারভাঙা ও মধুবনি জেলা এই অনুমতি পেয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, মুঙ্গেরের জন্যও একই অনুমতি চাওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|