|
|
|
|
মিলল অপহৃত দুই শিল্পকর্তার মৃতদেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
অপহরণের এক মাস পর উদ্ধার হল জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের দুই কর্তার গুলিবিদ্ধ দেহ। ডিমা হাসাও জেলার উমরাংশু থানা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাসকোড়া গ্রামের জঙ্গলে পড়ে ছিল দুটি দেহ। দুর্গন্ধে চার পাশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে কাল বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
তখনই দেহ দু’টির সন্ধান মেলে। রাতে পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে হাফলং সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসে। পুলিশের অনুমান, কমপক্ষে ১০-১২ দিন আগে তাঁদের মারা হয়েছে। নিহতরা হলেন জেপি সিমেন্টের নির্মীয়মাণ উমরাংশু ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার, যতীন্দ্র সিংহ সাঁধু এবং সহযোগী সংস্থা, আসাম মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার রমেন শর্মা।
ডিমা হাসাও জেলার উমরাংশু থানার ১৮ কিলোতে ৭০০ বিঘা জমির ওপর তৈরি হচ্ছে জেপি সিমেন্টের নতুন ইউনিটটি। সাঁধু এবং শর্মা ইউনিটেরই আবাসনে থাকতেন। ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে আটটায় ১৫-২০ জনের একটি দল বন্দুক দেখিয়ে তাঁদের সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কোম্পানির এক সূত্রে জানা গিয়েছে, দর-কষাকষি করে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ৫০ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল। এর পর অপহরণকারীদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশও তাঁদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় তৎপরতা দেখায়নি বলে অভিযোগ। ৬২ বছরের সাঁধু ছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল। বাড়ি রাজস্থানে। ৪৮ বছরের রমেন শিবসাগরের বাসিন্দা।
ডিমা হাসাও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরজিৎ সিংহ পানিসর জানিয়েছেন, কার্বি জনগোষ্ঠীর জঙ্গিরা এই অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত। দোষীদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দু’-চার দিনের মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
কেন এই অপহরণ ও খুনের ঘটনাতদন্তের স্বার্থে পানিসর তা নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েটস উমরাংশুর যে জমিতে সিমেন্ট কোম্পানি তৈরি করছে তা ছিল কার্বি জনগোষ্ঠীর মানুষের। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ নিয়ে শুরু থেকেই কোম্পানি ও কার্বিদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। অনুমান, এরই জেরে তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে।
এ দিকে, ডিমা হাসাও জেলার হাফলং লেকে আজ সকালে উত্তম ভাস্কর (২৭) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের ছোট ভাই গৌতম ভাস্কর জানিয়েছেন, ‘‘সোমবার দাদা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আর ফেরেনি।’’ এটি দুর্ঘটনা নাকি খুন, সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ আজই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|