|
|
|
|
‘কোলাভেরি’ মন্ত্রে প্রচার পুলিশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বিপণনের জগতে সমসাময়িকতা সব সময়েই গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে এসেছে। পণ্যের বিজ্ঞাপনেও সমসাময়িক ঘটনা বা প্রবণতাকে পুঁজি করাটা নতুন নয়। অনেকটা সেই পথেই হেঁটে এ বার নাগরিক সচেতনতার প্রচারে ‘বাজারি জনপ্রিয়তা’কে অবলম্বন করছে পুলিশ। হেলমেট না-পরা মোটরবাইক আরোহীদের জন্য তাদের হুঁশিয়ারির হাতিয়ার এখন ‘কোলাভেরি ডি’।
তামিল-ইংরেজির মিশেলে এই গানটি এখন কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকার আট থেকে আশির মুখে মুখে ফিরছে। জনপ্রিয় এই গানের ছন্দে লেখা স্লোগান-সহ হোর্ডিং আজ, শনিবার থেকেই দেখা যাবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১২৭টি মোড়ে। প্রধানত বড়দিন বা বর্ষবরণে হেলমেটবিহীন বেসামাল আরোহীদের জন্যই এ ব্যবস্থা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
হেলমেট পরা বা গতি কমানোর সচেতনতা গড়ে তুলতে আগেও চার লাইনের কবিতা-কার্টুনের দ্বারস্থ হয়েছে পুলিশ। তাতে যে খুব কাজ হয়েছে, এমনটা বলা যায় না। ‘কোলাভেরি’ প্রচারের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটাও এখনও অনিশ্চিত। |
|
এই সেই প্রচার। |
তবে সরকারি প্রচারে সমসাময়িক জনপ্রিয় গানকে যে ভাবে ব্যবহার করা হল, তেমন এর আগে বিশেষ হয়নি। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সুপ্রতিম সরকার বলেন, “নবীন প্রজন্ম যে ভাষা সহজে বুঝবে, তাতেই হোর্ডিং লেখা হয়েছে। পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস, গড়িয়াহাট, শ্যামবাজার মোড়ের মতো কিছু জায়গা ছাড়াও শপিং মল, পানশালাগুলির কাছেও এই হোর্ডিং থাকবে।” ‘কোলাভেরি ডি’-র ছন্দে সচেতনতার প্রচারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান বিপণন বিশেষজ্ঞ শিলু চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “চেনা মুখ, চেনা ছবি, কথা বা সুর সব সময়েই নজর কাড়ে। জনপ্রিয় গানের ছন্দে এই সচেতনতার বার্তাও তাই দাগ কাটবে বেশি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সচেতনতার প্রচারে এ ভাবে তো আগেও বারবারই উঠে এসেছে জনপ্রিয় গান, ছবি, এসেছেন তারকারা। এটা সামাজিক বিপণনেরই একটা অংশ।” ‘কোলাভেরি’ তাই ‘হিরোগিরি’ রুখবে, এই আশাতেই আপাতত বুক বাঁধছে পুলিশও। |
|
|
|
|
|