নভেম্বরেও বেলগাছিয়ার সেন্ট্রাল ডেয়ারির তিন নম্বর বয়লারে এক বার ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজে গাফিলতির জেরে সেই বয়লারটি ফের অচল হয়ে পড়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সেখানে দুধ তৈরির কাজ মার খাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কত ক্ষণ লাগবে, কর্তৃপক্ষ তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি। যদিও কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, এর জন্য দুধ সরবরাহে কোনও বিঘ্ন হবে না।
বেলগাছিয়া সেন্ট্রাল ডেয়ারিতে প্রতিদিন ৪০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। তার মধ্যে রয়েছে গরুর দুধ, ডাবল টোনড, হরিণঘাটা স্পেশ্যাল, জনতা দুধ। ওই দুধ উৎপাদনের জন্য তিনটি বয়লার আছে। তার মধ্যে দু’টি বয়লার সব সময়েই কাজে লাগে। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য একটি বয়লার ‘স্ট্যান্ডবাই’ রাখার কথা। নভেম্বরে সেই বয়লারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে দ্রুত তা সারানো হয়।
ডেয়ারির আইএনটিইউসি সমর্থিত কর্মী সমিতির কার্যনির্বাহী সভাপতি কানাই দাসের অভিযোগ, “যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির ব্যাপারে আমরা আগে অনেক বার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কাজ হয়নি। এমনটা যে হতে পারে, তা আশঙ্কা করে সাত দিন আগেও দেওয়া হয়েছিল।” প্রাণিসম্পদ দফতরের বিশেষ সচিব তথা দুগ্ধ কমিশনার উদয়শঙ্কর নন্দী অবশ্য বলেন, “বয়লার অপারেটরেরা কাজে নেমেছেন। আশা করছি, দিন দুয়েকের মধ্যেই ত্রুটি মেরামত হয়ে যাবে।”
উদয়বাবু জানান, দুধ সরবরাহে যাতে কোনও বিঘ্ন না-ঘটে, তার জন্য আপাতত মাদার ডেয়ারি থেকে দুধের প্রক্রিয়াকরণ হবে। তাই দুধ সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না। যদিও দুগ্ধকর্মীদের প্রশ্ন, মাদার ডেয়ারি নিজেরাই তো তাদের ক্রেতাদের জনতা দুধের জোগান দিতে পারছে না। তারা সেন্ট্রাল ডেয়ারির দুধের জোগান দেবে কী ভাবে? উত্তর অজানা। |