প্রভিডেন্ট ফান্ডের ‘ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট’ (চালু নয় এমন অ্যাকাউন্ট)-এর সুদের টাকা সাধারণ সদস্যদের মধ্যে সুদ হিসেবে বণ্টন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে অর্থমন্ত্রকের মতামত চাইল পিএফের কেন্দ্রীয় অছি পরিষদ (সিবিটি)। তাদের দাবি, ওই টাকা ব্যবহার করা গেলে তবেই ২০১১-’১২ সালের জন্য ৯% বা তার বেশি সুদ দেওয়া সম্ভব হবে। নইলে সুদ দেওয়া যাবে বড়জোর ৮.২৫%।
২০১১-’১২ অর্থবর্ষে পিএফে কী হারে সুদ দেওয়া হবে, তা নির্ধারণের জন্যই শুক্রবার বৈঠকে বসে সিবিটি। কিন্তু মতৈক্য হয়নি। ইউনিয়নগুলির দাবি, আগের বারের মতো এ বারও ৯.৫% সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করুক অছি পরিষদ। কিন্তু উল্টো দিকে, কর্তৃপক্ষ জানায় যে, পিএফের টাকা লগ্নি করে যে আয় হয়েছে, তাতে ৮.২৫ শতাংশের বেশি সুদ দেওয়া অসম্ভব। তার বেশি দিতে হলে ঘাটতি দেখা দেবে তহবিলে। এবং এ প্রসঙ্গেই ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট-এর সুদের টাকা ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনায় তুলে এনেছে তারা।
পিএফে যে সব সদস্যের অ্যাকাউন্টে টানা ৩ বছর কোনও টাকা জমা পড়েনি, সেগুলিকেই চিহ্নিত করা হয় ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট হিসেবে। গত জানুয়ারিতেই ওই সব অ্যাকাউন্টের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকায় আপাতত সুদ না-গোনার কথা ঘোষণা করেছিল সিবিটি। জানিয়েছিল, বিশেষ খাত তৈরি করে ওই টাকার সুদ জমা রাখা হবে। কিন্তু ওই ধরনের কোনও সদস্য টাকা তুলে নেওয়ার দাবি জানালে, তখন তাঁকে তা সুদ-সহ মিটিয়ে দেওয়া হবে। এখন তাদের দাবি, ওই সরিয়ে রাখা টাকার সুদ সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দিলে তবেই ২০১১-’১২ সালে পিএফে সুদ ৯ শতাংশের উপর নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে একাধিক কর্মী ইউনিয়ন। এ আই ইউ টি ইউ সি-র সাধারণ সম্পাদক এবং সিবিটি সদস্য শঙ্কর সাহা বলেন, “যে সব সংস্থা পিএফের টাকা জমা দিচ্ছে না, তাদের কর্মীদের অ্যাকাউন্টও তালিকায় রয়েছে। এ ভাবে এক জনের টাকা অন্যকে দেওয়া অনুচিত। অতিরিক্ত টাকার সংস্থান করতে কেন্দ্রকে ভর্তুকি দিতে দাবি জানিয়েছি।” |