আর্থিক সংস্কারের কাজ আদৌ থমকে যায়নি বলে আজ দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে সংস্কার থমকে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিল্প ও বাণিজ্য মহল থেকে। সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সংখ্যক সাংসদের সমর্থন না থাকাটা যে সরকারের একটা বড় সমস্যা, সেটা নিজেও এ দিন ফের স্বীকার করেছেন প্রণববাবু। তবু সংস্কারের ব্যাপারে সরকার যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সে কথাও আজ বেশ জোরের সঙ্গেই ঘোষণা করেন তিনি। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, “খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নিকে আসতে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, সংখ্যার অভাবে আপাতত তা রূপায়ণ করা যায়নি। তবে সিদ্ধান্তটা কিন্তু বাতিল হয়নি।”
এ দিন শিল্পপতিদের এক সভায় প্রণববাবু বলেন, “এটা মনে করার কোনও কারণ নেই যে, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি, পেনশন বা বিমা ক্ষেত্রে সংস্কারের চেষ্টা শিকেয় উঠেছে। সরকার এই বিষয়গুলিতে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং বৃহত্তর একমত্য গড়ে তোলা গেলেই এই সব সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে সরকার।”
মনমোহন সরকার এর আগে ২০১১-’১২ আর্থিক বছরে ৮.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির আশা করেছিল। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, সেটা ৭.২ থেকে ৭.৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। যদিও এটাকে মোটেই
খারাপ বলতে রাজি নন অর্থমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধির কথা বলছি। এটাকে যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্যই বলতে হবে। কারণ, আমাদের আর্থিক বৃদ্ধির হার মাথা তুলতে শুরু করেছে তো সবে ২০০৩-০৪ থেকে। ওই বছর ৮ শতাংশে পৌঁছেছিল বৃদ্ধির হার।”
ডিসেম্বরের ৩ তারিখ শুরু হওয়া সপ্তাহে খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়ার হার ১.৮১ শতাংশে নেমে এসেছিল। কিন্তু পাইকারি দরের সূচক সে ভাবে নামছে না। গত মাসেও পাইকারি দরে বৃদ্ধির হার ছিল ৯.১১ শতাংশ। তবু চলতি অর্থ-বর্ষের শেষ ভাগে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬-৭ শতাংশের কাছাকাছি নেমে আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রণববাবু। |