বড়জোড়ায় দাদা খুনে ধৃত ভাই |
দাদাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বড়জোড়া থানার কৃষ্ণনগর গ্রামে শুক্রবার সকালে এই খুনের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম মদন ভূঁই (৪২)। তাঁকে খুন করার অভিযোগে পুলিশ ছোট ভাই বদন ভূঁইকে পরে গ্রেফতার করে। আজ শনিবার, তাকে বাঁকুড়া আদালতে তোলা হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মদনবাবুরা পাঁচ ভাই। তিনি দুর্গাপুরের একটি কারখানায় ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। চার ভাইয়ের অক সঙ্গে বাস করলেও বদনের আলাদা সংসার ছিল। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বদনের সঙ্গে বাকি চার ভাইয়ের বিবাদ চলছিল বলে অভিযোগ। এ দিন সকালে বাড়ির একটি গাছ কাটার সময়েই খুনের ঘটনাটি ঘটে। মৃতের ভাই সাধন ভূঁইয়ের অভিযোগ, “গাছ কাটার দেখভাল করছিল দাদা। হঠাৎ বদন ছুটে এসে একটি কাটারি নিয়ে দাদার গলায় কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় দাদা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।” এই ঘটনার পরে বাড়ি থেকে পালায় বদন। পুলিশ খবর পেয়ে পরে স্থানীয় প্রতাপপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
|
জেলখানায় চার হাত এক হল। পাত্র শেখ মানিকের বাড়ি দুবরাজপুরের ফকিরডাঙা গ্রামে। পাত্রী মুমেনা খাতুন। পাণ্ডবেশ্বরের মহালগ্রামে তাঁর বাড়ি। শুক্রবার সিউড়ি সংশোধনাগারে তাঁদের বিয়ে হল। পুলিশের কাছে মুমেনার অভিযোগ, মানিকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সর্ম্পক ছিল। গর্ভবতী হয়ে পড়ার পর থেকে মানিক যোগাযোগ রাখছিলেন না। ইতিমধ্যে মুমেনার একটি শিশুপুত্র হয়। সম্প্রতি কর্মস্থল ব্যাঙ্গালুরু থেকে মানিক বাড়ি ফেরেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশে মানিকের ঠাঁই হয় সংশোধনাগারে। এরপরে তিনি মুমেনাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। আদালত সম্মতি জানানোর পরে জেলখানাতেই বসে বিয়ের আসর। মুমেনার কোলে ছিল ২৫ দিনের ছেলে। জেলা সমাজকল্যান আধিকারিক গৌতম মালিক-সহ অনেক আধিকারিক সেখানে ছিলেন। বিয়ের পরে মুমেনা ফিরে গেলেন। আদালত নির্দেশ দিলে তারপর বাড়ি ফিরবেন মানিক |