এক মহিলা বিক্ষোভকারীকে ঘিরে ধরে পেটাচ্ছে সেনাবাহিনীর লোক কায়রোর পথে ওই দৃশ্য দেখে তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে গিয়েছিলেন আজ্জা হিলাল সুলেমা নামে আর এক মহিলা।
মিশরের সেনা রেহাই দেয়নি সুলেমাকেও। তাদের মারধরে সুলেমার খুলিতে চিড় ধরেছে। মুখে গভীর ক্ষত। হাসপাতালে শুয়ে একটি মার্কিন সংবাদ চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুলেমা জানিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতার কথা। গত শুক্রবার মিশরের তাহ্রির স্কোয়্যারে এক মহিলা বিক্ষোভকারীকে অর্ধনগ্ন করে পেটায় সেনা। তাঁর পেটে লাথি মারতেও ছাড়েনি তারা। সংবাদমাধ্যমে সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে বিশ্ব জুড়ে তুমুল বিতর্ক-সমালোচনা শুরু হয়।
পরে বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইলেও সেনা মুখপাত্র মহম্মদ আসকর বলছেন, “রণক্ষেত্রে ওই মহিলা কী করছিলেন? কোনও কারণ ছাড়া সেনা কাউকে আক্রমণ করে না।
ভিডিওয় দেখা গিয়েছে লাল কোট পরা সুলেমাকেও। অজ্ঞাতপরিচয় ওই মহিলাকে বাঁচাতে ছুটে যাচ্ছেন তিনি। তখনই সেনা জওয়ানরা ধেয়ে আসছে সুলেমার দিকে। তাঁকেও ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় সেনা। সুলেমার মতোই সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন ইহাব হান্না নামে এক ব্যবসায়ী। মারধরের পরে হান্নার পায়েও গুলি করে সেনা। সবই স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ভিডিওয়।
৪৮ বছরের সুলেমা যন্ত্রণা সত্ত্বেও বলছিলেন সে দিনের কথা, “মেয়েটাকে রাস্তা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল সেনা। তাতেই ওঁর মাথার স্কার্ফটা খুলে যায়। ধস্তাধস্তিতে খুলে যায় ওপরের পোশাক। তবুও ওঁকে মেরেই যাচ্ছিল সেনা। কোনওমতে ওঁর গায়ে একটা কাপড় ছুড়ে দিই।” কিন্তু সুলেমার সেই চেষ্টা বৃথা যায়। সেনা তাঁর মাথায় আঘাত করে। সুলেমার উপরে আক্রমণের ঘটনা তাঁরা জানে না বলেই দাবি সেনাবাহিনীর। |