প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ কেতুগ্রামে
য় দেখিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। বর্ধমান জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আব্দুল হাই-এর কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি অতীন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুল উন্নয়নের স্বার্থেই ওই টাকা নেওয়া হয়েছিল। স্কুল পরিচালন সমিতির কাছে তাঁকে সমস্ত হিসেব বোঝাতে নির্দেশ দিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক।
গত ১৫ নভেম্বর ওই স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ও অভিযোগকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আব্দুল হাই। জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষক তড়িৎকুমার চট্টোপাধ্যায় টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বৈঠকে।
তবে আব্দুল হাই বলেন, “স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঠিক কাজ করেননি প্রধান শিক্ষক। ওই টাকায় তিনি কী করেছেন তার হিসেব স্কুল পরিচালন সমিতিতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কেন তিনি ওই টাকা নিয়েছেন তার একটি রিপোর্ট আমাকে দিতে বলা হয়েছে।” রিপোর্টে অসঙ্গতি পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক তড়িৎবাবু অবশ্য বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টাকা খরচের হিসেব আমার কাছে আছে। আগামী বুধবার পরিচালন সমিতির বৈঠকে সেই হিসেব পেশ হবে। স্কুল পরিদর্শকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
গঙ্গাটিকুরি অতীন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরে ছাত্র সংখ্যা ১২০০। ২০ জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’র অভিযোগ এনে চিঠি দিয়েছেন সহকারী স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) এবং ডিআই, তথা জেলা স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, “স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে আসা শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা এবং ডেপুটেশন ও অস্থায়ী শিক্ষকদের কাছ থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন প্রধান শিক্ষক।” ওই চিঠিতে তাঁদের আরও অভিযোগ, টাকা আদায়ের পরে রশিদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেননি তিনি। ডিআই-এর কাছে প্রধান শিক্ষকের দাবি, কোনও শিক্ষকের কাছ থেকেই ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়নি। তবে আদায় করা টাকার যথাযথ রেকর্ড যে নেই তা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
স্কুলের শিক্ষক তথা পরিচালন সমিতির সদস্য মহম্মদ আসরাফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “প্রধান শিক্ষকের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে ডিআই-কে চিঠি দিয়েছিলাম। উনি আমাদের ডেকেছিলেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.