টাকা খরচে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুটি হাই স্কুল এবং একটি কলেজে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বিক্ষোভকারীরা স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষকে দফতরে তালাবন্ধ করে রাখেন বলেও অভিযোগ। এ দিন দুপুরে বালুরঘাটের চককাশি শ্যামপুর হাই স্কুলে ঘটে প্রথম বিক্ষোভের ঘটনা। তিন মাস আগে ভোটে স্কুলের পরিচালন সমিতি তৃণমূলের দখলে আসে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এ যাবত পরিচালন সমিতির কোনও সভা ডাকেননি প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও সোচ্চার হন তৃণমুলের নির্বাচিত সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল ঘর তৈরি খাতে দু’দফায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন প্রধান শিক্ষক। সভা করে খরচের হিসাব চাইলে তিনি নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলের সম্পাদক সুনীল মণ্ডলের অভিযোগ, “গত ৭ মাস ধরে মিড ডে মিলের রান্না হয় না। শৌচালয় না-থাকায় ছাত্রীরা বিশেষ সমস্যার মুখে।” এরপরই তাকে ঘরবন্দি করে তালা মেরে আটকে রাখা হয়। পুলিশ গিয়ে বিকেল নাগাদ তাঁকে মুক্ত করে। প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু চক্রবর্তী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “হিসাব তৈরি আছে। পরীক্ষা ও স্পোর্টস নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সভা করা যায়নি। শীঘ্রই হিসাব দেওয়া হবে।”
পাশাপাশি কুশমন্ডি ব্লকের নাহিট হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভূয়ো ভোটার তালিকা তৈরির অভিযোগের তদন্তে নেমে সহ পরিদর্শক অনিয়মের প্রমাণ পেলে তৃণমূলের তরফে শাস্তির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। জীবিত অভিভাবকদের মৃত দেখানোর কোনও প্রমাণপত্র প্রধান শিক্ষক দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষক ওবাইদুর রহমান বলেন, “ছাত্রদের কাছে শুনে কিছু অভিভাবকের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে তা ঠিক করা হয়েছে।” অন্যদিকে, গঙ্গারামপুর কলেজে স্পোর্টসের খরচের হিসাব চেয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ হয়। অধ্যক্ষকে ঘরে আটকে এসএফআইয়ের কলেজ সংসদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হিসাব চাওয়া হয়। পরে কলেজ অধ্যক্ষ শিবানী রায় বলেন, “ছাত্রদের দাবি মেনে আগামী ১০ জানুয়ারি সমস্ত খরচের হিসাব দেওয়া হবে।” |