তৃণমূল ও শিক্ষক সংগঠনের আন্দোলনের জেরে ভর্তির আবেদনপত্রের জন্য ফি নেওয়া বন্ধ করল হলদিবাড়ির দুটি স্কুল। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে। হলদিবাড়ি হাই স্কুল ও হলদিবাড়ি গার্লস হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এ মাসের ২০ তারিখ থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং অন্যান্য ক্লাসে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র বিক্রি এবং জমা নেওয়ার কাজ শুরু করে। ২০ এবং ২১ তারিখ আবেদনপত্র বিক্রি করার তারিখ নির্ধারিত হয়। ২২ এবং ২৩ তারিখ আবেদনপত্র জমা নেওয়ার দিন ঠিক করা হয়। আবেদনপত্রের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে হলদিবাড়ি হাইস্কুলে বৃহস্পতিবারও আবেদনপত্র বিক্রি করার কাজ চলছিল। হলদিবাড়ি হাইস্কুলের সেকেন্ডারি টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোশিয়েশনের সদস্যরা এই ব্যাপারে কোচবিহারে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে অভিযোগ জানান। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওই স্কুলে গিয়ে ফি নেওয়া বন্ধ করার জন্যে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। বিক্ষোভের জেরে আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে কোচবিহার থেকে সহকারী স্কুল পরিদর্শক দুটি স্কুলেই ভর্তির আবেদনপত্রের জন্য ফি নেওয়া বন্ধের নির্দেশ দেন। কোচবিহার জেলা সহকারী স্কুল পরিদর্শক বনানী মন্ডল বলেন, “এ মাসের ৯ তারিখে পাঠানো সরকারি বিজ্ঞপ্তি বুধবার আমাদের হাতে এসেছে। সব স্কুলে এখনও জানানো যায়নি। এই নির্দেশনামায় পরিস্কার বলা আছে যে আবেদনপত্র এবং অ্যাডমিশন ফি’র জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও টাকা নিতে পারবেন না।” হলদিবাড়ি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দত্ত এবং হলদিবাড়ি গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা দেব অধিকারী বলেন, “আবেদন পত্রের জন্য কোনও ফি নেওয়া যাবে না এমন কোনও সরকারি নির্দেশনামা আমরা পাইনি। সহকারী স্কুল পরিদর্শক নির্দেশ দেওয়ার পর আমরা আবেদনপত্রের জন্য ফি নেওয়া বন্ধ করে দিই। যাদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হয়েছিল তাদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসটিএ-র মেখলিগঞ্জ মহকুমার সম্পাদক বিশ্বরূপ গোস্বামী বলেন, “সরকারি নির্দেশনামায় পরিস্কার বলা আছে আবেদন পত্রের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ফি নিতে পারবেন না। সেটা উল্লেখ করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ফি নেওয়া বন্ধের জন্যে স্কুল পরিদর্শকের কাছে ঘটনাটি জানানো হয়।” হলদিবাড়ি ব্লক সম্পাদক কমল প্রধান বলেন, “সরকারি নির্দেশের বাইরে গিয়ে স্কুল আবেদন পত্রের জন্য টাকা নিচ্ছিল। আমাদের আন্দোলনে তা বন্ধ হয়েছে।” |