অর্থসঙ্কট, তবু সেচকরের হার বাড়াবে না রাজ্য
র্থিক সঙ্কটের জেরে টালি নালা, বেলেঘাটা খাল থেকে শুরু করে একাধিক খাল এবং নদী সংস্কারের কাজ আটকে রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ-মাসুলের মতো সেচকরের হারও বাড়াবে না বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। একই সঙ্গে তিনি মেনে নিলেন, বাম আমলে সেচের জলের জন্য করের পরিমাণ ছিল নামমাত্র। তবে তাঁর কথায়, “কৃষকদের উপরে চাপ সৃষ্টির পক্ষপাতী নই। আগে তো সেচের জল পৌঁছে দিই। তার পরে ভাবা যাবে।”
দু’দিন আগেই মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে ১০০ দিনের কাজেও সেচ দফতরকে প্রকল্প রূপায়ণ সংস্থা হিসেবে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। উদ্দেশ্য, ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দকে কাজে লাগিয়ে সেচ দফতরের কিছু কাজ করে নেওয়া। বৃহস্পতিবার সেচমন্ত্রী জানান, বাম আমলের হিসেব অনুযায়ী এ রাজ্যে এক লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৯৩ একর জমিতে সেচের জল পৌঁছয়। তিনি বলেন, “পুরনো মানচিত্রে সেচসেবিত এলাকা বলে চিহ্নিত থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই সেচের জল পৌঁছচ্ছে না। সেচসেবিত এলাকা হলে জমির ঊর্ধ্বসীমা ১৭ একর থেকে কমে ১২ একর হয়ে যায়। সেচের জল না-পেলেও চাষিদের সেচকর দিতে হয়। দু’দিক থেকে মার খান কৃষকেরা। সেই কারণেই আমরা নতুন সেচ-মানচিত্র তৈরি করছি।”
মানসবাবু জানান, এ দিন বাগজোলা খাল সংস্কার নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানে ঠিক হয়েছে, খুব শীঘ্রই বাগজোলা খাল সংস্কারের কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার। তাতে খরচ হবে প্রায় ৫১ কোটি টাকা। মন্ত্রী জানান, মোট খরচের ৩৫ শতাংশ দেবে কেন্দ্র। বাকি অর্থ আসবে সেচ এবং নগরোন্নয়ন দফতর থেকে। কিন্তু দুই দফতর কত অর্থ দেবে, তা চূড়ান্ত হয়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.