খারাপ চাল, এফসিআই কর্তাকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর |
ছত্তীসগঢ় থেকে পাঠানো নিম্ন মানের চাল নেওয়া হবে না বলে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই)-র কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জঙ্গলমহল, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য এফসিআই রাজ্যের কোটার অতিরিক্ত চাল পাঠায়। কিন্তু রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, প্রায় ৮৮ হাজার মেট্রিক টন ওই চাল খাওয়ার অযোগ্য। তাঁর কথায়, “নিম্ন মানের ও পচা চাল পাঠানো হয়েছে। ওই চাল পশুখাদ্য হতে পারে!” বিষয়টি জেনে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এফসিআইয়ের পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার অজিতকুমার সিংহকে ফোন করে বলেন, ওই চাল বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগপত্র পাঠাতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ওই চাল বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার আদ্রা ও নদিয়ার কল্যাণীতে এইসিআই গুদামে মজুতও করা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ওই চাল মজুত করে এফসিআই গুদাম ভরিয়ে ফেলেছে। যত ক্ষণ না এফসিআই ওই চাল সরাবে, তত ক্ষণ গুদামগুলিতে ভাল চালও মজুত করা যাবে না।” তিনি গুদামগুলি থেকে অবিলম্বে ওই চাল সরাতে এইসিআই-কে বলেছেন।
|
সংখ্যালঘু ওবিসি আইন যাচাই রাজ্যে |
বামফ্রন্ট সরকার সংখ্যালঘু ওবিসি-দের জন্য যে-আইন করেছিল, তা যাচাই করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বৃহস্পতিবার পার্ক সার্কাস ময়দানে সংখ্যালঘুদের মিলনমেলায় এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিধানসভায় পাশ করানো হলেও আদতে সেটি আইন নয়।
ওই আইনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। আমরা সব নিয়মবিধি মেনে সেটি চালু করব। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।” মুখ্যমন্ত্রী চান, রাজ্যের সব সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় পাশ করলেই কেন্দ্রীয় সরকারের বৃত্তি পাক। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে তবেই ওই বৃত্তি পাবে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা। আমি চাই, পাশ করলেই ওই বৃত্তি দেওয়া হোক। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখব।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাম আমলের চেয়ে তাঁর সরকার অনেক বেশি ছাত্রছাত্রীকে লেখাপড়ার জন্য বৃত্তি দিচ্ছে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক অনুদান দিচ্ছে। |