|
|
|
|
হচ্ছে ঋণ, আমানত বিমাও |
একসঙ্গে সব সমবায়ে নির্বাচন সারতে রাজ্যে পৃথক কমিশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নানা ধরনের নিয়মের ফলে এবং একসঙ্গে নির্বাচন না-হওয়ায় এত দিন সমবায় সমিতিগুলির পরিচালনায় সমস্যা হত। সেই সমস্যার মোকাবিলায় এ বার সমবায় সমিতিগুলির জন্য আলাদা নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে রাজ্যে। সব ক’টি সমিতিতে একই সঙ্গে নির্বাচন করার বিধি তৈরি ছাড়াও সমিতির আমানত ও ঋণ বিমা করানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই মর্মে একটি বিল পাশ হয়। ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল কো-অপারেটিভ সোসাইটিজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১১’ শীর্ষক প্রস্তাবটির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে সমবায়মন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি বলেন, “এত দিন সমবায় সমিতিতে পদাধিকারী নির্বাচনের অদ্ভুত কিছু নিয়ম ছিল। বিভিন্ন সমবায় নিজেদের সুবিধামতো নির্বাচন করিয়ে নিত। সরকারি নিয়মের এত বেশি ফাঁক ছিল যে, ঠিক ভাবে সমবায় পরিচালনা করতে যথেষ্ট অসুবিধা হত।”
সেই ‘অনাচার’ দূর করতে কৃষি, মৎস্য, দুগ্ধ, হস্ততাঁত এবং ব্যাঙ্কগুলিতে পদাধিকারী নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে। এগুলোর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। নতুন সংশোধনী পাশ হয়ে যাওয়ার পরে এপ্রিল, মে এবং জুনের মধ্যে সব সমিতিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করার বিধি তৈরি হবে। এবং এই নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি আলাদা কমিশনও গড়া হবে বলে সভায় জানান মন্ত্রী।
নির্বাচনের সঙ্গে প্রার্থীদের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই ‘কোড অফ কনডাক্ট’ বা আচরণবিধিও চালু হবে। এত দিন কেউ সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে তা ফেরত না-দিলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারতেন না। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, পদে বসার পরে ক্ষমতা ব্যবহার করে ঋণ নিয়ে বছরের পর বছর তা ফেরত দেননি অনেক পদাধিকারীই। এই অবস্থা বদলানোর জন্য নতুন বিধি চালু হচ্ছে। সেই বিধি অনুযায়ী কোনও পদাধিকারীর নামে ঋণের টাকা ফেরত না-দেওয়ার অভিযোগ ওঠামাত্র তিনি পদ হারাবেন।
সমবায় সমিতিগুলোয় জমা আমানত ও ঋণের বিমা করানো বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবও এ দিন পাশ হয় বিধানসভায়। বিল সমর্থন করে বক্তব্য পেশ করার সময় তৃণমূলের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর জানান, সমবায়ে আমানতের ক্ষতি হলে এবং ঋণ নিয়ে কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবারের উপরে যাতে চাপ না-পড়ে, তার জন্য এই দু’টি ক্ষেত্রেই বিমা করানোর প্রস্তাব রয়েছে নতুন বিলে। এর ফলে অনাদায়ি ঋণের জন্য কোনও সমবায় ব্যাঙ্ক উঠে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না বলে জানান ওই বিধায়ক।
সমবায় সমিতিগুলোয় কর্মী (চতুর্থ শ্রেণি বাদে) নিয়োগের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভিস কমিশনে কিছু অদলবদল করার বিষয়টিও সভায় পাশ হয়। বিরোধী জোটের সদস্য ও প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রী আনিসুর রহমান কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব এনেছিলেন। কিন্তু তাঁরা ভিন্ন কারণে কক্ষ ত্যাগ করায় সেগুলি ব্যাখ্যা করার মতো কেউ ছিলেন না। |
|
|
|
|
|