|
|
|
|
জমি বিলে স্বাক্ষর করলেন রাজ্যপাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রস্তাবিত জমি বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় ফিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল জমি বিলে সই করেছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যপাল বিলে সই করার পরে আজ, শুক্রবার বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই জমি বিল পেশ করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে সরকারি মহলে। কারণ, প্রস্তাবিত জমি বিলে রাজ্যপালের সই প্রয়োজন ছিল।
ঘটনাতক্রে, আজ, শুক্রবারই বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শেষ হচ্ছে। অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে আলোচনার জন্য তিনঘন্টা সময় বরাদ্দ করেছেন স্পিকার। ফলে জমি বিলটি বিধানসভায় পেশ করা হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার এক প্রবীণ সদস্য জানিয়েছেন, সাধারণত ওই ধরনের বিল আনতে গেলে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ডাকতে হয় এবং নোটিস দিতে হয়। পরিষদীয় নীতি আরও বলে, ওই ধরনের বিল আনতে গেলে তা নিয়ে আলোচনার আগে সদস্যদের অন্তত পাঁচদিন সময় দিতে হয়। ফলে বিলটি শুক্রবার সভায় পেশ করার সম্ভাবনা কম। তবে অন্য এক মন্ত্রীর বক্তব্য, “রাজ্যপাল যখন বিলে সই করে দিয়েছেন, তখন শুধুমাত্র পেশ করাও যেতে পারে। তেমন হলে পরের অধিবেশনে বিলটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ছে না।”
তবে রাজ্যপালের সই-সহ বিলটি পেশ করা হলেও সেটি সম্পর্কে সদস্যরা ইতিমধ্যেই ওয়াকিবহাল। বুধবারই রাজ্যপালের সই ছাড়া সদস্যদের মধ্যে প্রস্তাবিত জমি বিল (‘দি ওয়েস্টবেঙ্গল ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসেটেলমেন্ট বিল, ২০১১) বিলি করা নিয়ে দিনভর বিধানসভায় টানাপোড়েন চলেছে। এ দিনও বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার বিরোধী শিবিরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত, এ দিন সরকারের কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, সদস্যদের মধ্যে বিল বিলি করতে রাজ্যপালের সই না-হলেও চলে। কিন্তু বিরোধীরা বিধানসভার আইনের বই (‘রুল বুক’) উদ্ধৃত করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বিলে রাজ্যপালের সই অবশ্যই দরকার। তাঁর সই ছাড়া বিল বিলি করা যায় না। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের কথায়, “বিধানসভার কার্যবিধির ৬৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালের সই ছাড়া বিল বিলি করতে দেওয়া যায় না!’’ সরকারের কাছে সূর্যবাবুর প্রশ্ন, “রাজ্যপাল কি এই বিল প্রকাশের অনুমতি দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের জবাব রাজ্যপালেরও দেওয়া উচিত!”
সদস্যদের মধ্যে জমি বিলের প্রতিলিপি বিলি করা নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার প্রথমে বলেছিলেন, “ভুলবশত বিল বিলি হয়ে গিয়েছে। সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তির পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিলটি বিলি করা হবে।” পরে তিনি বলেছিলেন, “ইন্টারনেট থেকেও কেউ পেতে পারেন!” কিন্তু বিধানসভার বুলেটিনেই সচিব যাদবলাল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বুধবারই বিলের প্রতিলিপি সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তবে রাজ্যপালের সই হয়ে যাওয়ার পরে আপাতত ওই ‘বিতর্কে’ ছেদ পড়ল বলেই সরকারের একাংশের অভিমত। |
|
|
|
|
|