তৃণমূল কর্মী খুনের মামলায় অভিযুক্ত তালড্যাংরার সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। দেড় বছর আগে তালড্যাংরার এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত।
গ্রেফতার হতে পারেন এই আশঙ্কায় সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মনোরঞ্জনবাবু কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, একজন বিধায়ক হওয়ায় পালাবেন না। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু বিচারতি অমিত তালুকদারে ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এ দিন সন্ধ্যায় মনোরঞ্জনবাবু বলেন, “হাইকোর্ট কী রায় দিয়েছে জানি না। তবে ২০১০-এ তৃণমূল কর্মী মদন ওরফে আইজুল খাঁ খুনের মামলায় উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে। সেই সময়ে আমি বিধানসভায় ছিলাম। আমি নির্দোষ। কাজেই হাইকোর্ট কী রায় দিল, তা নিয়ে আমি উৎসাহী নই। ওরা যা পারে করুক।” সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন কী না জানতে চাওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
পুলিশ জানিয়েছে, তালড্যাংরা থানার রাজপুর গ্রামের তৃণমূল কর্মী মদন খাঁ’র বাড়িতে ২০১০-এর ৩০ জুন দুপুরে এক দল সশস্ত্র দুষ্কৃতী হানা দেয়। তারা মদন খাঁ’কে গুলি করে খুন করে। গুলিবিদ্ধ হন তাঁর এক ছেলে। মারধর করা হয় মদনের খাঁ’র স্ত্রী’কেও। সেই ঘটনায় তাঁর ছেলে তালড্যাংরার বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র, তাঁর ভাই জিতেন পাত্র-সহ অনেক জন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় খাতড়া আদালতেও তিনি জামিন পাননি বলে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের জেলা লিগাল সেল তাঁর মনোনয়ন পত্র খারিজ করে দিয়ে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পরে পুলিশ ওই মামলায় তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করে।
হাতাহাতি। ছাত্রসংসদ গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ও ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটল নলহাটি হীরালাল ভকত কলেজে। ছাত্র সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে কলেজের এক শিক্ষক হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শেষ পর্যন্ত টিএমসিপির জেহেদি হাসান ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। |